ইউক্রেনের কাছে ড্রোন বিক্রিতে পেন্টাগনের আপত্তি

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২২, ১২:৫৮

সাহস ডেস্ক

ইউক্রেনের কাছে অত্যাধুনিক চারটি ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা থাকলেও বর্তমানে এ নিয়ে দ্বিধায় আছে মার্কিন সরকার। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আপত্তি থাকাতে এ দ্বিধায় আছে মার্কিন সরকার। শনিবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জাানয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে রয়টার্স জানায়, ইউক্রেনে ৪টি 'এমকিউ ওয়ান সি গ্রে ইগল' ড্রোন বিক্রির পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। অত্যাধুনিক নজরদারি প্রযুক্তি সম্বলিত ও বিধ্বংসী হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপে সক্ষম ইগল ড্রোন মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি যুদ্ধাস্ত্র। এই ড্রোন তৈরিতে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে তা একান্তভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব ও বর্তমানে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বাধুনিক।

এদিকে মার্চে এই ধরনের ড্রোন কিনতে লিখিত প্রস্তাব পাঠায় কিয়েভ। তারপর জুন মাসের প্রথম দিকে ইউক্রেনের কাছে ৪টি 'এমকিউ ওয়ান সি গ্রে ইগল' ড্রোন বিক্রির ব্যাপারে অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দপ্তর হোয়াইট হাউস। তবে হোয়াইট হাউস অনুমোদন দেওয়ার পরই তাতে আপত্তি জানায় দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের দাবি, এই ড্রোন রাশিয়ার হাতে পড়েলে এই প্রযুক্তি আর গোপন থাকবে না এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে।

এ সম্পর্কে পেন্টাগনের মুখপাত্র সুয়ে গফ রয়টার্সকে জানান, ‘আন্তর্জাতিক অংশীদারদের কাছে কোনো মার্কিন সমরাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তরের আগে এটি তাদের কাছে কতখানি প্রয়োজনীয় সেটা নিয়ে পর্যালোচনা করে পেন্টাগন। পাশাপাশি সমরাস্ত্র প্রযুক্তি হস্তান্তরের ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে ভবিষ্যতে কোনো ঝুঁকির মুখে পড়তে হবে কিনা সেটা নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়। যদি কোনো কারণে এই ড্রোন বেহাত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন নয় এমন কোনো শক্তির হাতে পড়ে, সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়েবে।’

রয়টার্স জানায়, বর্তমান পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের কাছে এই ড্রোন বিক্রি করা হবে কিনা তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে পেন্টাগনের পর্যালোচনার ওপর। পেন্টাগন যদি সায় দেয়, কেবল তাহলেই যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এই ড্রোন কিনতে পারবে ইউক্রেন।

তবে পেন্টাগনের এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানায়, কবে নাগাদ এই পর্যালোচনা শেষ হবে তার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। যদি ড্রোন বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে সেক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যবান প্রযুক্তির কোনো যুদ্ধাস্ত্র সরবরাহ করা হতে পারে ইউক্রেনকে, কিন্তু তাতেও সময় লাগবে অন্তত কয়েক মাস। ফলে, ইউক্রেন অত্যাধুনিক মার্কিন ড্রোন কিনতে পারবে কিনা, তা এখন ঝুলন্ত অবস্থায় আছে।

সাহস২৪.কম/টিএ/এএম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত