ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে: রাবাব ফাতিমা

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২১, ১৬:০০

সাহস ডেস্ক

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আয়োজিত ফিলিস্তিনি প্রশ্নে এক প্লেনারি সভার আয়োজন করা হয়। এ সভায় ইসরাইলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক বাড়িঘর ও অবকাঠামো ভেঙ্গে ফেলা, দখল, বহিষ্কার, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তপাত ঘটানোর কারণে ইসরাইল অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে পরিস্থিতি ক্রমশ: অবনতির দিকে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা।

গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের এ সভায় একথা বলেন তিনি। আজ বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী দ্বি-জাতি সমাধান কাঠামোর আওতায় পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে একটি স্বাধীন, কার্যকর ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায় সঙ্গত অধিকারের প্রতি বাংলাদেশের অটুট ও অবিচল সর্মথন পূর্নব্যক্ত করে রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই ফিলিস্তিনি সঙ্কটের মূল কারণ খুঁজে বের করে তার সমাধানসহ ইসরাইলি আগ্রাসনের অবসানে সত্যিকারের প্রচেষ্টা গ্রহণ করতে হবে।

তিনি বলেন, ইসরাইল যাতে সকল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইন এবং জাতিসংঘ রেজুলেশন ২৩৩৪(২০১৬)সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য জাতিসংঘ রেজুলেশন যথাযথভাবে প্রতিপালন করতে সম্মত হয় তা আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে।

রাবার ফাতিমা বলেন, ইসরাইলের এহেন কর্মকাণ্ড জাতিসংঘ রেজুলেশন এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও মানবিক আইনের প্রতি সুস্পষ্ট অবজ্ঞা প্রর্দশন।

বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, অপরাধ করে পার পেয়ে যাওয়ার ঘৃণ্য সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে এবং অধিকৃত ভূখণ্ড ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের উপর সংঘটিত নৃশংস অপরাধের অবশ্যই জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রদূত ফাতিমা বলেন, ফিলিস্তিন প্রশ্নে জাতিসংঘে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিকভাবে আলোচনা চলমান থাকার অর্থ হচ্ছে ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যর্থতার একটি স্পস্ট অনুস্বাক্ষর।

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে তার ন্যায্য স্থান প্রদানসহ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি সমস্যার একটি ন্যায়সঙ্গত, দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাপকভিত্তিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান নিশ্চিতে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি পূনরায় আহ্বান জানান বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি।

তিনি এসকল অপরাধ তদন্তের জন্য স্বাধীন আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশনের চলমান কার্যক্রমকে স্বাগত জানান। এছাড়া তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ বিষয়ক অগ্রগতিকেও স্বাগত জানান।

ফিলিস্তিনি শরর্ণাথীদের জন্য গঠিত রিলিফ সংস্থা আনরোয়ার কাজের প্রশংসা করেন রাষ্ট্রদূত রাবার ফাতিমা। পাশাপাশি কোভিড-১৯ অতিমারি থেকে পুনরুদ্ধারসহ ফিলিস্তিনিদের জরুরি মানবিক চাহিদার সমাধান করার উপর জোর দেন। আনরোয়াকে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

সূত্র: বাসস

সাহস২৪.কম/এসকে.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত