তালেবানদের ভয়ে পালাচ্ছে আফগান নারী-কিশোরীরা

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০২১, ১২:০০

অনলাইন ডেস্ক

কথিত ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান যোদ্ধাদের হাতে একের পর এক আফগানিস্তানের প্রাদেশিক রাজধানীর পতন হচ্ছে। সেখানে ভয় ও আতঙ্কে লুকিয়ে সময় কাটাচ্ছেন নারীরা। কারণ তাদের অপহরণ করে যোদ্ধাদের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার আশঙ্কা আছে।  

একটি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানাযায়, যখনই চরমপন্থীরা একটি নতুন শহর বা জেলা দখল করে, তারা স্থানীয় মসজিদের বক্তাদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার এবং পুলিশ কর্মীদের স্ত্রী ও বিধবাদের নাম হস্তান্তরের আদেশ জারি করে।

স্থানীয় বাসিন্দা এবং কর্মকর্তারা সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, তালেবানরা শত শত তরুণীকে ঘিরে রেখেছে তাদের যোদ্ধাদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য।  

অভিযোগ উঠেছে, দখল করা শহরগুলোতে মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবানরা। নারীদের বোরখা ছাড়া বাইরে না বেরোতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।  

বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যাওয়া  আফগানিস্তানের এক তরুণ নারী সাংবাদিক (২২)  তাঁর পরিস্থিতি বর্ণনা করে বলেন, ‘দুই দিন আগে তালেবান সদস্যরা আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আমাদের শহর দখল করলে জীবন বাঁচাতে আমাকে বাড়ি থেকে পালাতে হয়। আমি এখনো পালিয়ে বেড়াচ্ছি এবং আমার যাওয়ার কোনো নিরাপদ জায়গা নেই।’

ওই সাংবাদিক আরও বলেন, ‘গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমি সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেছি। আজ আমি নিজের নামে লিখতে পারি না বা বলতে পারি না আমি কোথাকার বা আমার অবস্থান কোথায়। আমার পুরো জীবন মাত্র কয়েক দিনের মধ্যে ধ্বংস হয়ে গেছে।’

বাড়ি ছাড়ার ঘটনা বর্ণনা করে ওই সাংবাদিক বলেন, ‘তালেবান যাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে, তাদের ইতিমধ্যে খোঁজ করা শুরু করেছে। গত সপ্তাহ শেষে আমার ব্যবস্থাপক আমাকে ফোন করে বলেছেন যেন অপরিচিত কারও ফোনকলের উত্তর না দিই। তিনি বলেছেন, নারী সাংবাদিক বলে যেন লুকিয়ে থাকি। পারলে শহর ছেড়ে যেন চলে যাই। 

বামিয়ানের প্রাদেশিক গভর্নর মোহাম্মদ তাহির জুহাইর বলেছেন, নারীদের অপহরণ ও বিয়ে করার পরিকল্পনা তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করা নিরাপত্তা বাহিনীর স্ত্রী ও বিধবাদের ওপর একটি বিপজ্জনক ও নিষ্ঠুর প্রতিশোধ।