বাড়ল জরুরি অবস্থা

প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে মিয়ানমারের জান্তা প্রধান

প্রকাশ | ০২ আগস্ট ২০২১, ১২:৩০ | আপডেট: ০২ আগস্ট ২০২১, ১৩:৫২

অনলাইন ডেস্ক

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার দাবিতে এখনো বিক্ষোভ সমাবেশ চলছে, এরই মাঝে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের হানায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। ফলে বেসামাল অবস্থা জান্তা সরকারের। আর এর মধ্যেই নতুন করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার সুর মিয়ানমার জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। 

টেলিভিশনে দেয়া রেকর্ড করা এক ভাষণে মিয়ানমার জান্তা প্রধান বলেন, দেশের জরুরি অবস্থার মেয়াদ আগামী ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই সময়ের মাঝেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে সেনাশাসনের সময় আরও দুই বছর বাড়িয়ে দেয়া হলো।

জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং টেলিভিশনের ওই  ভাষণে বলেন, আমাদের অবশ্যই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচন আয়োজনের পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে। আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। আমি সুষ্ঠুভাবে বহুদলীয় সাধারণ নির্বাচনের অঙ্গীকার করছি।

জান্তা সরকারের স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন কাউন্সিল তাদের পক্ষ থেকে রবিবার (১ আগস্ট)  এক বিবৃতিতে আরও জানায়, মিন অং হ্লাইংকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (কেয়ারটেকার সরকার) প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করা হয়েছে। পরে জান্তা প্রধান নিজেই এক ঘোষণায় নিজেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দেন এবং জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি পরিষ্কার করেন।

ধারণা করা হচ্ছে, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এটি এক ধরনের কৌশল মিয়ানমার জান্তা প্রধানের। আর জরুরি অবস্থা আরও ২ বছর বাড়ানোর মাধ্যমে জান্তা সরকারের ক্ষমতা আরও পাকাপোক্ত করা হলো। প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসে হয়ত কৌশলও বদলাতে পারেন জান্তা প্রধান, এমন শঙ্কা সাধারণ মানুষের।

চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি অং সান সু চির নির্বাচিত সরকারের হটিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।