করোনাভাইরাস: ভুয়া টিকা নিয়ে অসুস্থ মিমি

প্রকাশ | ২৬ জুন ২০২১, ১৬:২৫ | আপডেট: ২৬ জুন ২০২১, ১৬:৪৪

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ কলকাতার কসবা অঞ্চলে করোনভাইরাসের ‘ভুয়া’ ভ্যাকসিন নিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন পশ্চিমঙ্গের অভিনেত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী। তিনি গত ২২ জুন এ ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন। তার ঠিক চারদিনের মাথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন এই তারকা। শনিবার (২৬ জুন) ভোর থেকেই এই অভিনেত্রীর সমস্যা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, আজ ভোরের দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন মিমি। অসহ্য পেটে ব্যথার সাথে ঘাম ঝড়তে থাকে। ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। রক্তচাপও বেশ কিছুটা কম ছিল। এর জন্য ভোর ৬টায় মিমির পারিবারিক চিকিৎসক তার বাড়িতে আসে। চিকিৎসক মিমিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিলেও রাজি হননি তিনি। আপাতত বাড়িতে থেকেই চলছে চিকিৎসা। আগে থেকেই এই অভিনেত্রীর গলব্লাডারের সমস্যা রয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার এক ভিডিও বার্তায় মিমি চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, টিকার নামে তাকে যা দেওয়া হয়েছে, সেটা ভুয়া ছিল, কিন্তু তিনি সুস্থ আছেন। যারা ওই ক্যাম্প থেকে টিকা নিয়েছেন, তাদেরও তেমন কিছুই হবে না বলে প্রত্যাশা করেছেন মিমি।

গতকাল শুক্রবার গণমাধ্যমকে মিমি বলেছেন, পৌরসভার ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের মুখে খবরটা পাওয়ার পরেই আমি চিন্তায় পড়ে যাই। চিকিৎসককে ফোন করি। তিনি বলেন, এটা একধরনের অ্যান্টিবায়োটিক, যেটা পানিতে গুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পেট ও মূত্র সংক্রমণে এই ওষুধ দেওয়া হয়। খুবই কড়া ওষুধ। পানিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সম্ভবত সে রকম ক্ষতি করবে না।

স্থানীয় গণমাধ্যমকে মিমি বলেন, খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছি। ভোররাত চারটা থেকে পেটে ব্যথা। সকাল ছয়টায় ডাক্তার আমার বাড়িতে আসেন।

গত মঙ্গলবার (২২ জুন) কসবার নিউমার্কেট এলাকায় একটি কোভিড-১৯ টিকা ক্যাম্প উদ্বোধন করে সেখানেই টিকা নেন মিমি। বিশেষভাবে সক্ষম শিশু ও তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের টিকা দেওয়ার জন্য ওই ক্যাম্প চালু করা হয়। আমন্ত্রণ পেয়ে মিমি সেখানে হাজির হন এবং অন্যদের উৎসাহিত করতে ওই ক্যাম্প থেকে নিজেও টিকা নেন। টিকা ক্যাম্পটির উদ্যোক্তা দেবাঞ্জন দেব।

সংবাদমাধ্যমকে মিমি জানিয়েছেন, কাজটিকে উৎসাহিত করতে আমি সেখানে গিয়েছিলাম, ওখানে নিজেও ভ্যাকসিন নিই। কিন্তু ফোনে কোনো মেসেজ না আসায় আমার খটকা লাগে।

মিমি আরও বলেন, সার্টিফিকেট চাইলেও তারা জানায়, সেটা বাড়িতে পৌঁছে দেবে, কিন্তু দেয়নি। পরে অফিসের লোক গিয়ে খোঁজ করায় বলেছে, তিন থেকে চার দিন সময় লাগবে। এরপরই বুঝতে পারি, নিশ্চয়ই বিষয়টার মধ্যে অন্য কোনো ব্যাপার আছে।

পরে মিমি নিজে ওই ক্যাম্প থেকে টিকা গ্রহণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানান, তাদেরও একই সমস্যা। এরপরই প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মিমি।