করোনাভাইরাস: ব্রিটেনের তৈরী জীবন বাঁচানোর নতুন চিকিৎসা

প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২১, ২২:৪৩

সাহস ডেস্ক

স্বল্পমূল্যের স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ঠেকানোর বিষয়টি আবিষ্কারের ঠিক এক বছর পর গবেষকেরা বলছেন, তারা জীবন বাঁচানোর আরও একটি চিকিৎসা বের করেছেন।

তবে ব্যয়বহুল এই চিকিৎসায় রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করার বদলে স্যালাইনের মাধ্যমে শক্তিধর অ্যান্টিবডি মানব দেহের শিরায় ঢুকিয়ে দেয়া হয় যা ভাইরাসকে পরাস্ত করতে পারে বলে আজ বুধবার বিবিসির বার্তায় জানানো হয়েছে।

পরীক্ষায় দেখা গেছে, করোনাভাইরাসে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের মধ্যে প্রতি তিনজনের একজন এই চিকিৎসায় সেরে উঠেছে। এই চিকিৎসার মাধ্যমে করোনায় আক্রান্ত প্রতি ১০০ জন সাধারণ রোগীর মধ্যে ৬ জনের জীবন বাঁচানো যাবে বলে বিশেষজ্ঞরা হিসেব করে দেখেছেন।

তবে যাদের শরীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার মতো যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না শুধু তাদেরকেই এই চিকিৎসা দেয়া হয়। এতে খরচ পড়বে এক হাজার থেকে দুই হাজার ব্রিটিশ পাউন্ড।

ট্রায়ালে এই চিকিৎসা নেওয়া ৩৭ বছর বয়সী কিম্বার্লি ফিদারস্টোন বিবিসিকে বলেন, ‘আমার নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। কারণ আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি হলাম, সে সময় এই ট্রায়াল শুরু হলো। আর আমি এই দারুণ চিকিৎসা নিতে পারলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমি এ কারণেও খুশি যে চিকিৎসাটি নিয়ে এর সফলতা পাওয়ার প্রক্রিয়ার অংশ হতে পেরেছি।’

এই চিকিৎসার ট্রায়ালে প্রথমদিকে যারা অংশ নিয়েছিলেন তাদের একজন কিম্বারলি ফেদারস্টোন।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কভিত্তিক রেজেনেরোন ফার্মাসিউটিক্যালস এই মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসা নিয়ে এসেছে। শ্বেত রক্তকণিকা ক্লোন করে তৈরি করা এই অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাস যেন মানবদেহের কোষে সংক্রমণ এবং বংশবিস্তার করতে না পারে, সেই কাজটি করে।

ব্রিটেনের হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১০ হাজার রোগীর ওপর এই অ্যান্টিবডি থেরাপির পরীক্ষা চালানো হয়েছে। এতে দেখা গেছে, মৃত্যুর ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাচ্ছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার সময়ও কমে আসছে (গড়ে চার দিন করে)। ভেন্টিলেটরের প্রয়োজনও উল্লেখযোগ্য হারে কমছে।

গবেষণায় যুগ্মভাবে নেতৃত্ব দেওয়া স্যার মার্টিন ল্যানড্রে বলেন, দুটি অ্যান্টিবডির মিলিত রূপ শিরায় প্রবেশ করানোয় তাঁদের মৃত্যুঝুঁকি পাঁচ ভাগের এক ভাগ কমে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত