করোনার টেস্ট নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার বিমানবন্দরে জালিয়াতি

প্রকাশ : ০৬ মে ২০২১, ১৩:২৫

বিবিসি বাংলা

করোনাভাইরাস টেস্টের জন্য নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে যে কাঠি ব্যবহার করা হয়, সেটি ধুয়ে পুনরায় বিক্রি এবং ব্যবহার করার অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার একটি ঔষধ কোম্পানির কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ বলছে, মেডানের একটি বিমানবন্দরে নয় হাজার যাত্রীর ক্ষেত্রে নাক থেকে নমুনা সংগ্রহের কিট বা কাঠি ব্যবহার করা হয়েছে, সেটি এর আগেও ব্যবহার করা হয়েছিল।

এই জালিয়াতির অভিযোগে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ঔষধ কোম্পানি কিমিয়া ফার্মাকে এখন আইনের মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে।

কোভিড-১৯ মহামারির সময় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে টেস্ট করার পরীক্ষার জন্য নাকের ভেতর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা একটি সাধারণত বিষয়।

পুলিশ বলছে, উত্তর সুমাত্রার মেডানে অবস্থিত কুয়ালানামু বিমানবন্দরে এই জালিয়াতির ঘটনা গত ডিসেম্বর মাস থেকে চলে আসছে।

বিমানে ভ্রমণ করতে হলে যাত্রী কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ লাগে। সেজন্য বিমানবন্দরের ভেতরে যাত্রীদের নমুনা সংগ্রহ এবং তাৎক্ষণিক পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়।

কিমা ফার্মার সরবরাহ করা র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট ব্যবহার করছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

যাত্রীরা অভিযোগ করছিল যে তারা ভুয়া পজিটিভ রিপোর্ট পাচ্ছে। এরপর একজন পুলিশ ছদ্মবেশে যাত্রী সেজে পরীক্ষা করতে যান। তার রিপোর্ট যখন পজিটিভ আসে, তখন অন্য পুলিশ পরীক্ষাগার ঘেরাও করে এবং সেখান থেকে একাধিকবার ব্যবহার করা টেস্ট কিট উদ্ধার করে।

স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, এই জালিয়াতির মাধ্যমে ঔষধ কোম্পানির কিছু কর্মকর্তা প্রায় সোয়া লাখ ডলার হাতিয়ে নিয়েছে। এই অর্থ দিয়ে একজন অভিযুক্ত কর্মকর্তার জন্য বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে কি-না সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

এই ঘটনার পর কিমা ফার্মা তাদের অভিযুক্তদের বরখাস্ত করেছে এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ আরো জোরদার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এশিয়ার যে কয়েকটি দেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিপর্যস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৯ লাখ রোগী শনাক্ত হয়েছে এবং মৃত্যুবরণ করেছে ৪৬ হাজারের বেশি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত