ইন্দোনেশিয়ার নিখোঁজ বিমানটির ধ্বংসাবশেষ জাভা সাগর থেকে উদ্ধার

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২১, ১৩:১৭

সাহস ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা থেকে গতকাল শনিবার ৬২ জন আরোহী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বোয়িং ৭৩৭ যাত্রীবাহী একটি বিমান। কিছুক্ষণ পরেই বিমানটি নিখোঁজ হয়ে যায়। ধারণা করা হয়েছিল বিমানটি উড্ডয়নের চার মিনিটের মাথায় সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। সেই ধারণা মোতাবেক আজ রবিবার জাভা সাগর থেকে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। এখবর জানিয়েছে আলজাজিরা।

গতকাল শনিবার (৯ জানুয়ারি) শ্রীবিজয়া এয়ারের বোয়িং ৭৩৭-৫০০ মডেলের বিমানটি জাকার্তা থেকে ওয়েস্ট কালিমান্তান প্রদেশের রাজধানী পনতিয়ানায় যাচ্ছিল। বিমানবন্দর থেকে উড়ানোর চার মিনিট পর এটি রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিমানটি সাগরের ওপরে ১০ হাজার ফুট উচ্চতায় থাকা অবস্থায় নিখোঁজ হয়। এটি বিধ্বস্তের কোনো কারণ জানানো হয়নি। কর্তৃপক্ষ তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে। তবে কোনো যাত্রী বেঁচে আছেন বলে তারা আশা করছেন না।

আজ রবিবার (১০ জানুয়ারি) সকালে দেশটির নৌবাহিনীর ডুবুরিরা দুটি ব্যাগ উদ্ধার করেছেন। এর একটি ছিল যাত্রীর। আরেকটি ধ্বংসাবশেষ। যুদ্ধজাহাজ, হেলিকপ্টার ও ডুবুরিদের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে ১০টির বেশি জাহাজ মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থলের আশে-পাশে পাওয়া ধ্বংসাবশেষ খতিয়ে দেখছেন তদন্ত কর্মকর্তারা। এগুলো আসলেই ওই বিমানের ধ্বংসাবশেষ কীনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তারা সাগর ও আকাশপথে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাবেন। উড়োজাহাজের অনুসন্ধানে সোনার রাডার ব্যবহার করা হচ্ছে।

ডুবুরিরা বিধ্বস্ত হয়েছে—এমন সন্দেহে তিনটি জায়গা কমলা রঙের বেলুন দিয়ে চিহ্নিত করে রেখেছে। নৌবাহিনী, পুলিশের শতাধিক সদস্য উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন।

ফ্লাইট ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট ফ্লাইট রাডার টোয়েন্টিফোরডটকম জানিয়েছে, ভূমি থেকে তিন হাজার মিটারের বেশি ওপরে ওঠার পর এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তারা বড় ধরনের একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। সোলিহিন নামের এক জেলে জানিয়েছেন, তিনি বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী।

তিনি বলেন, আমার মনে হলো বিমানটিতে আগুন জ্বলছে এবং এরপরেই সেটি সাগরে বিধ্বস্ত হয়েছে। এটা আমাদের একদম কাছেই ঘটেছে। যে স্থানে ওই বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে তার কাছাকাছি একটি দ্বীপের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, তারা বেশ কিছু ধ্বংসাবশেষ দেখতে পেয়েছেন। তাদের মনে হয়েছে এগুলো দুর্ঘটনা কবলিত বিমানের।

কর্তৃপক্ষ বলছে, উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে ৬২ যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জন শিশু ছিল। তারা সবাই ইন্দোনেশীয়। দুর্ঘটনার পর থেকেই ওই বিমানে থাকা আরোহীদের উদ্বিগ্ন স্বজনরা শনিবার রাত থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। ইয়ামান জাই নামের একজন বলেন, আমার স্ত্রী এবং তিন সন্তান ওই বিমানে ছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত