ফ্রান্সের নিস শহরে ‘সন্ত্রাসী হামলা’য় নিহত ৩

ফ্রান্সের নিস শহরে একটি গির্জায় ছুরি নিয়ে চালানো হামলায় তিন ব্যক্তি মারা গেছেন। নিস শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি বলেছেন ''নত্রে ডেম গির্জার মধ্যে এই সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে।'

নিস শহরের মেয়র ক্রিশ্চিয়ান এসট্রসি’র বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন নিহত ব্যক্তি যিনি গির্জায় প্রার্থনা করতে এসেছিলেন তার ''প্রায় শিরশ্ছেদ'' করা হয়েছে। হামলার পরপরই সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে গুলি করা হয়েছে এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গির্জার কাছে থাকেন শ্লো নামে এক বাসিন্দা বলেন আমরা রাস্তায় অনেক লোকের চেঁচামেচি শুনতে পাই। জানলা দিয়ে দেখি প্রচুর, প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ আসছে। বন্দুকের গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। অনেক গুলির আওয়াজ।

তিনি এটাকে ''ইসলামী- ফ্যাসিবাদ'' বলেছেন এবং বলেছেন সন্দেহভাজন ব্যক্তি "বারবার আল্লাহু আকবর" ধ্বনি দিচ্ছিল। এমানুয়েল ম্যাক্রঁ ঘটনাস্থলে গেছেন। ফ্রান্সের জাতীয় সন্ত্রাস দমন বিষয়ক কৌঁসুলি খুনের তদন্ত শুরু করেছেন।

মেয়র এসট্রসি এই হত্যাকাণ্ডকে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির সাম্প্রতিক হত্যার সাথে তুলনা করেছেন। চলতি গোড়ার দিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে ওই স্কুল শিক্ষককে স্কুলের কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়।

এই হত্যাকাণ্ডকে শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির সাম্প্রতিক হত্যার সাথে তুলনা করেছেন। এ মাসে গোড়ার দিকে প্যারিসের উপকণ্ঠে একটি স্কুলের ক্লাসরুমে ইসলামের নবীর কার্টুন দেখানোর সূত্রে ঐ স্কুল শিক্ষককে স্কুলের কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়। তবে নিস শহরের হামলার ঘটনার উদ্দেশ্য সম্পর্কে পুলিশ এখনও পর্যন্ত কিছু বলেনি।

তবে ইসলামের নবীর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ সমর্থন করে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যে মুসলিম বিশ্বে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে এবং কয়েকদিন ধরেই কিছু দেশে বিক্ষোভ হয়েছে। কোন কোন দেশে ফরাসি পণ্য বর্জনেরও ডাক দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার আরও দুটি হামলার ঘটনা ঘটেছে। একটি ফ্রান্সে এবং অন্যটি সৌদি আরবে।