টাইফুনে বিধ্বস্ত এলাকায় কিম, ২৫ হাজার গৃহ নির্মাণ

প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২০, ২১:০৩

সাহস ডেস্ক

টাইফুনের আঘাতে বিধ্বস্ত এলাকার জনগণের জন্য আগামী পাঁচ বছরে কমপক্ষে ২৫ হাজার গৃহ নির্মাণ করে দেয়ার অঙ্গীকার করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন।

বুধবার (১৪ অক্টোবর) উত্তর সরকারি সংবাদমাধ্যম কেসিএনএ কিমের অঙ্গীকারের এই খবর দিয়েছে।

কেসিএনএ বলছে, টাইফুনে সবচেয়ে বিধ্বস্ত দেশটির একটি অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে কিম জং উন লোকজনের ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসা বাড়ি-ঘর ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। এ সময় সেনাবাহিনীকে আরও উন্নত নির্মাণ পরিকল্পনা নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গত সপ্তাহে দেশটির ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ওয়ার্কার্স পার্টির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে সামরিক বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় আবেগপ্রবণ হতে দেখা যায় নেতা কিম জং উনকে। নাগরিকদের জীবন-মানের উন্নতি ঘটাতে নিজের ব্যর্থতা স্বীকার এবং সৈন্যদের ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাতে গিয়ে ওই অনুষ্ঠানে ক্ষমা চাওয়ার সময় কেঁদে ফেলেন উত্তরের এই নেতা।

এই কান্নার খবর বিশ্ব গণমাধ্যমে আসার পর টাইফুনে বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন কিম জং উন।

কেসিএনএ বলছে, রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাউথ হ্যামজিয়ং প্রদেশের কোমদোক এলাকায় সেনাবাহিনী ২৩ হাজার ঘর নির্মাণের কাজ শুরু করেছে।

পুরনো বাড়ি-ঘর প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধ্বংস হয়ে গেলেই কেবল তাদের জন্য নতুন করে ঘর নির্মাণ করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন কিম। আগামী পাঁচ বছরে দেশটিতে ২৫ হাজার গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনায় বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

আগামী জানুয়ারিতে ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসে দেশ পরিচালনার জন্য পাঁচ বছরের নতুন পরিকল্পনার ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা রয়েছে। তার আগে অর্থনৈতিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ৮০ দিনের দ্রুত গতির এক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে ওয়ার্কার্স পার্টির সরকার।

ভাইরাস-প্রতিরোধী ব্যবস্থা, আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা এবং বেশ কয়েকটি টাইফুনের আঘাত দেশের মানুষের জীবনযাত্রা উন্নয়নের ওপর প্রভাব ফেলেছে বলে মন্তব্য করেন কিম।

পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কারণে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় বিপর্যস্ত দেশটির অর্থনীতির ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস মহামারি। চীনে ভাইরাসটির উৎপত্তি হওয়ার পর সব সীমান্ত বন্ধ ও দেশটিতে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপ করায় উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়ছে।

সূত্র: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত