বাবরি মসজিদ ভাঙা মামলা থেকে খালাস সব বিজেপি নেতা

প্রকাশ | ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৩:৫৩ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৭:৩৮

অনলাইন ডেস্ক

ভারতে ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় সব আসামিকে খালাস করে দিয়েছে দেশটির একটি বিশেষ আদালত। প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সবাইকে খালাস দিয়ে বিচারক বলেন, মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা ‘পূর্বপরিকল্পিত ছিল না’।

বুধবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুরে লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব রায় এ রায় ঘোষণা করেন। খবর এনডিটিভির।

সকাল থেকে এ রায়ের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা ভারত। সকালে মামলায় অভিযুক্ত মোট ৩২ জনের মধ্যে ২৬ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আসেননি সাবেক উপ-প্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদভানি ও উত্তরপ্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুরলি মনোহর যোশী, বিনয় কাটিহারসহ দু’জন। তবে ইন্টারনেটের মাধ্যমে রায় দেওয়ার সময় আদালতে যুক্ত ছিলেন তারা।

রায়ে জানানো হয়, বাবরি মসজিদ ধ্বংস পূর্ব পরিকল্পিত ছিল না। আচমকা ঘটেছে এ ঘটনা। সেখানে যে হাজারও করসেবক ছিলেন, তাদের কারো উসকানিতেই এ ঘটনা ঘটে। এর সঙ্গে উচ্চস্থানীয় নেতারা জড়িত ছিলেন না। বরং নেতারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ঘটনা আচমকা ঘটায়, কেউ কোনোভাবে আটকাতে পারেননি।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ‘পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ নেই’ বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও আরও বলা হয়, সমাজবিরোধীরাই গম্বুজের ওপরে উঠেছিল। অভিযুক্তরা তাদের থামানোর চেষ্টা করেছিলেন।

১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্রপন্থী হিন্দু করসেবকরা। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উসকানির অভিযোগ আনা হয়। বাবরি মসজিদ ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন।

প্রায় ২৮ বছর আগের ওই ঘটনা চিরকালের মতো বদলে দিয়েছিল ভারতের সামাজিক এবং রাজনৈতিক গতিপথ। এ নিয়ে ভারতে রীতিমতো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ। রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী।