রাশিয়া ও চীন থেকেই অস্ত্র কিনবে ইরান

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৮:০১

সাহস ডেস্ক

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ বলেছেন, ‘জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আর কেউ তেহরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি আটকাতে পারবে না। তেহরান তার প্রয়োজনীয় অস্ত্র রাশিয়া ও চীন থেকেই কিনবে।’

গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন জারিফ।

বিশেষ করে চুক্তির অন্যতম অংশীদার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, ‘একতরফাভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর এই চুক্তি নিয়ে ওয়াশিংটনের কিছু বলা উচিত না। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা অবসানের পর ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি ঠেকাতে প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে ইউরোপের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানিও।’

এই খবরের প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘(নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর) যেসব দেশের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত সম্পর্ক রয়েছে সেসব দেশের কাছ থেকে অস্ত্র কিনেই আমরা প্রয়োজন মেটাতে পারব, যেমন রাশিয়া ও চীন।... এখন আমরা নিজেরাই অস্ত্র রফতানি করতে সক্ষম।’

তিনি বলেন, ‘তারপরও যখন প্রয়োজন পড়বে তখন এসব দেশ থেকে কিনতে পারব। যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও সেটি তাদের কাছে বাধা হবে বলে মনে হয় না।’

ইউরোপের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা প্রসঙ্গে জাভেদ জারিফ বলেন, ‘ইরানের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে ইউরোপীয় দেশগুলো তেহরানের কাছে অস্ত্র বিক্রি থেকে বিরত থেকেছে। এমনকি ১৯৮০’র দশকে ইরাকের আগ্রাসনের সময়েও তেহরানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েছে এসব দেশ। এসব বিষয় বিবেচনা করেই তাদের কাছ থেকে অস্ত্র কেনা হবে না।’

এর আগে এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে জারিফ বলেন, ‘জাতিসংঘে নিষেধাজ্ঞার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র নিজের ইচ্ছা অন্যের ওপর চাপিয়ে দিতে চাচ্ছে।’

জারিফ আরও বলেন, ‘বিশ্বকে তাদের এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে। তা না হলে অন্যান্য দেশগুলো এ নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে।’

ইরানের কাছে অস্ত্র বিক্রিতে জাতিসংঘের আরোপিত একটি নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আগামী ১৮ অক্টোবর শেষ হতে যাচ্ছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ছয় শক্তিধর দেশের সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তির আওতায় এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়। যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের ওপর সব ধরনের আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করতে চাপ প্রয়োগ করলেও তাতে সাড়া দিচ্ছে না আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত