নির্বাচনের আগেই ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে: ট্রাম্প

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২০, ২১:০৬

সাহস ডেস্ক
ফাইলফটো

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ‘বছর শেষের আগেই নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন হাতে এসে যাবে, যা দিয়ে মহামারি ঠেকিয়ে দেওয়া হবে।’

রিপাবলিকান কনভেনশনের শেষ দিন মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর রাখা বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে আমাদের তিনটি পৃথক ভ্যাকসিন রয়েছে। আমরা তা আগে থাকতেই উৎপাদন করছি, যাতে শুরুতেই সেগুলোর প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা যায়। এ বছরই আমরা একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পেয়ে যাব। সম্মিলিতভাবে আমরা এ ভাইরাসকে নির্মূল করব।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে লড়াইয়ের জন্য রিপাবলিকান দলের মনোনয়নপত্র গ্রহণের পর গতকাল বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) এ কথা বলেন। যদিও তাঁর এ বক্তব্যকে অনেকেই রাজনৈতিক বক্তব্য হিসেবে দেখছেন।

এর আগে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বলা হয়, কোনো নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন পেলে তারা তা মার্কিনিদের জন্য বিনা মূল্যে বিতরণ করবে। যুক্তরাষ্ট্র করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন গবেষণায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার কোটি ডলারের বেশি বিনিয়োগ করেছে। মোট ছয়টি প্রকল্পে ওয়াশিংটন এ অর্থ বিনিয়োগ করে। মানব-পরীক্ষায় নিরাপদ ও কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট ভ্যাকসিনটি দ্রুত উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তারা চুক্তি করে রেখেছে।

ভ্যাকসিনের বিষয়ে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগ আশা প্রকাশ করলেও তা হাতে পাওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে তারা কিছু বলেনি। যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগেই একটি ভ্যাকসিন পেতে উদ্‌গ্রীব হয়ে আছেন। এ ধরনের বক্তব্য তিনি আগেও দিয়েছেন। গত ৬ আগস্ট এক রেডিও অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এমনকি ৩ নভেম্বরের (প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের তারিখ) আগেই একটি ভ্যাকসিন হাতে আসতে পারে।

করোনাভাইরাস মহামারিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি পর্যুদস্ত বলা যায়। মহামারি মোকাবিলায় ট্রাম্প ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জোরালো অভিযোগ রয়েছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের আগে যেকোনো মূল্যে একটি ভ্যাকসিন চান ট্রাম্প।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি নভেম্বরের আগে কোনো ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার বিষয়ে ততটা আশাবাদী নন। রয়টার্সকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ফাউসি বলেছিলেন, ‘পরীক্ষাধীন একটি ভ্যাকসিন কার্যকর বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরও নানা পরীক্ষার পর এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত হলেই অনুমোদন হবে। এ বছরের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

সূত্র: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত