কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া, এইচআইভি ওষুধের পরীক্ষামূলক ব্যবহার স্থগিত

প্রকাশ : ০৫ জুলাই ২০২০, ১২:৫২

সাহস ডেস্ক

মৃত্যুহার কমাতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও এইচআইভি’র ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভিরের পরীক্ষামূলক ব্যবহার স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

শনিবার (৪ জুলাই) হাসপাতালে ভর্তি কোভিড-১৯ রোগীদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভির/রিটোনাভির প্রয়োগে মৃত্যুঝুঁকি না কমার কারনে সেগুলো বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। 

সংস্থাটির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তীকালীন পরীক্ষা এই ওষুধগুলো প্রয়োগে রোগীদের মৃত্যুঝুঁকি কমার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কোনো প্রভাব থাকলেও তা খুবই সামান্য।

করোনাভাইরাস সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসায় কোনো ওষুধ না থাকার কারণে বিদ্যমান নানা ওষুধ নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা। যারফলে বিভিন্ন দেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হয় ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এইচআইভির ওষুধ লোপিনাভির/রিটোনাভির, রেমডেসিভিরের। তবে গত ২৫ মে ডব্লিউএইচও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ট্যাবলেটটির পরীক্ষামূলক ব্যবহার বন্ধ রাখতে বলে।

এই ওষুধ সেবনে অনেকের হৃদস্পন্দনে গুরুতর অস্বাভাবিকতা দেখা দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএ-ও সতর্কবার্তা দিয়েছিল।

শুক্রবার (৩ জুলাই) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস সাংবাদিকদের জানান, ৩৯টি দেশের কমপক্ষে সাড়ে ৫ হাজার রোগীর ওপর ক্লিনিকাল পরীক্ষা চালানো হয়েছে এবং দুই সপ্তাহের মধ্যেই একটি ফল পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। 

এপর্যযন্ত ১৫০টি চিকিৎসার মাধ্যমে ১৮টি পরীক্ষামূলক কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন মানুষের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শীর্ষ জরুরিসেবা বিশেষজ্ঞ মাইক রেয়ান শুক্রবার জানান, কখন কোন টিকা প্রস্তুত হতে পারে তা অনুমান করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। যদিও কোনও ভ্যাকসিন পরীক্ষিত ব্যক্তির ওপর বছরের শেষে গিয়ে এর কার্যকারিতা দেখাতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হলো, কত তাড়াতাড়ি এটি বিশাল পরিমাণে উৎপাদিত হতে পারে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত