যুক্তরাষ্ট্র ভুল পথে হাঁটছে, করোনা সংক্রামণ দ্বিগুণ হতে পারে

যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার ৪৭ হাজার বেড়েছে। মহামারী শুরু হওয়ার পর একদিনেই এটিই সবচেয়ে বড় সংক্রমণ বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তবে দেশটিতে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ চেষ্টা ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে এবং এ সংখ্যা শিগগিরই দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়ে শীর্ষ সংক্রামক বিশেষজ্ঞ ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে যুক্তরাষ্ট্রে দিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। যেটা বর্তমানে চল্লিশ হাজারের কাছাকাছি রয়েছে।’

মঙ্গলবার (৩০ জুন) সিনেট প্যানেলকে একথা বলেন ফাউসি।

ফাউসি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবেই করোনার ওপর আমাদের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যেতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘ভ্যাকসিনের কোনো গ্যারান্টি নেই, যদিও প্রাথমিক উপাত্তগুলো অনেক সম্ভাবনাময়ী ছিল।’

ফাউসি বলেন, ‘ভাইরাসের উত্থান থামাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে পারে। যেসব এলাকায় করোনার উত্থান ঘটছে, সেসব এলাকায় কেবল নজর দিলেই চলবে না। এটি পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘টিকা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রথম দিকের উপাত্তে অনেক সম্ভাবনা দেখিয়েছিল। আশা রাখি– আগামী বছরের শুরুতে টিকার ডোজ সুলভ।’

ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও আরিজোনাকে প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখা গেছে। এসব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

রয়টার্সের হিসাব বলছে, জুনে অন্তত ১০টি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যার মধ্যে টেক্সাস ও ফ্লোরিডা রয়েছে।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত কোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২৭ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৬ জন। এখন পর্যন্ত মারা গেছে ১ লাখ ৩০ হাজার ১২৩ জন। এবং সুস্থ হয়েছে ১১ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯০ জন।

সূত্র: রয়টার্স