চীন-ভারতের সংঘর্ষে কেন গুলি ব্যবহার করা হয়নি

প্রকাশ : ১৮ জুন ২০২০, ২১:০৩

সাহস ডেস্ক

লাদাখ সীমান্তে চীনের সঙ্গে সংর্ঘষে ভারতীয় ২০ সেনা প্রাণ হারিয়েছে। দীর্ঘ ৪৫ বছর পর ফের চীন-ভারতের মধ্যে এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ১৯৭৫ সালের ২০ অক্টোবর অরুনাচলের গিরিপথে চীনা সেনাবাহিনীর বুলেটে ৪ ভারতীয় জওয়ান নিহত হয়েছিল। এর পর থেকে সীমান্তে চীন-ভারতের মধ্যে যত সংঘর্ষ হয়েছে তাতে কোনো ধরনের গুলি বা বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়নি।

লাদাখের গালওয়ান উপত্যাকায় সবসময় বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করে। এটি সমতল থেকে (৪০০০ ফুট) পাহাড়ের অনেক উচুঁতে। এর পশ্চিম অংশ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা আকসাই চীনের নিয়ন্ত্রণে। এই বিরোধপূর্ণ এলাকাটি ভারত দাবি করে আসছে।

ওই হিমালয় বেষ্টিত উপত্যাকায় সোমবার রাতে চীন-ভারতের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ২০ ভারতীয় সেনা নিহত হয়। অসমর্থিত সূত্রে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম দাবি করে, চীনের ৪৩ সেনা নিহত বা আহত হয়েছে। এই সংঘর্ষে কোনো দেশ গুলি ব্যবহার করেনি।

সীমান্ত নিয়ে ১৯৬২ সালে চীন ও ভারতের মধ্যে সংর্ঘের পরে ১৯৬৭ এবং ১৯৭৫ সালে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ৭৫ সালে চীনের হাতে অরুনাচলের গিরিপথে ৪ ভারতীয় সেনা গুলিতে নিহত হন। এরপরে সীমান্তে গুলিতে কেউ মারা যায়নি। চীনের সঙ্গে ৩ হাজার ৪৪০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে ভারতের।

১৯৯৬ সালে ভারত ও চীনের মধ্যে চুক্তি হয়। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোনো পক্ষই গোলাগুলি চালাবে না। অথবা কোনো কারণে কোনো রকম বিস্ফোরক ব্যবহার করবে না।

সাম্প্রতিক সময়ে দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনাপূর্ণ সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। মে মাসে লাদাখ সীমান্তবর্তী প্যাংগং লেকে ও সিকিম ভারত সীমান্ত এলাকায় গোলাগুলি না হলেও দুই পক্ষের মুখোমুখি সংঘর্ষে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

সবশেষ গত সোমবার প্রতিবেশি দেশ দুটির মধ্যে কোনো রকম গোলাগুলি ছাড়াই শারিরীক লড়াইয়ে ২০ ভারতীয় সেনা নিহতের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে চীনের পক্ষ থেকে কোনো হতাহতের কোনো প্রকার বিস্তারিত জানানো হয়নি।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে বলা হয়েছে, খাড়া পর্বতের প্রায় ১৪ হাজার ফুট (৪ হাজার ২৬৭ মিটার) উচ্চতায় দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কিছু সেনা সদস্য পা পিছলে খরস্রোতা গালওয়ান নদীতে পড়ে গেছেন। যেখানে শৈল প্রবাহের তাপমাত্রা ছিল হিমাঙ্কের নিচে।

সূত্র: বিবিসি ও ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত