শক্তি বাড়িয়ে মুম্বাইয়ে আঘাত হানবে ‘নিসর্গ’

ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ শক্তি বাড়িয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানতে পারে মহারাষ্ট্র ও গুজরাট উপকূলে। এসময় বাতাসের সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ১২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টিপাত ও অন্তত ছয় ফুট উঁচু জলোচ্ছাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুন) গভীর রাত পর্যন্ত ঘণ্টায় ১১ কিলোমিটার বেগে মুম্বাইয়ের দিকে এগিয়ে আসছিল নিসর্গ। আজ বুধবার (৩ জুন) সকালে তা ঘণ্টাপ্রতি গতিবেগ বাড়িয়েছে ২০ কিলোমিটার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ইতোমধ্যেই মুম্বাই, রায়গড়, পালগড়, থানে, রত্নগিরি, সিন্ধুদুর্গ এলাকায় উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সকাল থেকেই বেশ কিছু এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, ভূখণ্ডে আছড়ে পড়ার আগে নিসর্গ ঘণ্টায় ২৪ থেকে ৩০ কিলোমিটার বেগে এগিয়ে আসবে।

ভারতের মৌসুম ভবন জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ ভারতের পশ্চিম উপকূলে সর্বাধিক প্রায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে। উপকূল বরাবর গুজরাটের দিক দিয়ে খানিকটা এগিয়ে এটি প্রবেশ করবে ভূখণ্ডে। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাণ্ডবলীলা শুরু করে দেবে নিসর্গ। মুম্বাই উপকূলবর্তী এলাকায় চলছে ঝড়-বৃষ্টি।

ভারতের আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার সকাল সাড়ে ৭টায় এটি আলিবাগ থেকে ১৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মুম্বাই থেকে ১৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিম ও সুরাট থেকে ৪১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বুধবার বেশিরভাগ ফ্লাইট বাতিল করেছে মুম্বাই বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। গত সপ্তাহে দিনে ২৫টি ফ্লাইট ওঠানামা করলেও বুধবার শুধুমাত্র ১২টি প্লেন অবতরণ করবে বিমানবন্দরটিতে।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মুম্বাইয়ে সাধারণত কোনো ঝড় আছড়ে পড়ে না। মুম্বাইয়ে ঝড় আছড়ে পড়া খুব বিরল ঘটনা। ১৩৮ বছর আগে শেষবার বিধ্বংসী ঝড় হয়েছিল মুম্বাইয়ে। সে ঝড় বোম্বে সাইক্লোন নামে পরিচিত ছিল।