হোয়াইট হাউসের বাঙ্কারে লুকিয়ে ছিলেন ট্রাম্প

প্রকাশ : ০১ জুন ২০২০, ১১:১৩

সাহস ডেস্ক

পুলিশের হাতে কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি নিহতের ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ হোয়াইট হাউস পর্যন্ত চলে এলে হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে সুরক্ষিত বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বলে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মে) রাতে যখন হোয়াইট হাউসের বাইরে যখন বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়েছিল সে সময়ই নিরাপত্তার কথা ভেবে ট্রাম্পকে ভূগর্ভস্থ বাঙ্কারে সরিয়ে নেওয়া হয়।

এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কিছু সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ছাড়াও মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প এবং তাদের ছেলে ব্যারনকেও বাঙ্কারে নেওয়া হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে বাঙ্কারে নেওয়ার ঘটনা প্রথম প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস।

নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা হোয়াইট হাউস ঘেরাও করলে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা প্রেসিডেন্টকে ভূগর্ভস্থ কক্ষে নিয়ে যান। এর আগে সন্ত্রাসী হামলার সময় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে মাটির নিচের ওই বাঙ্কারে নেওয়া হয়। ২০০১ সালে নাইন/ইলেভেনের হামলার সময়ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনিকে ওই কক্ষে নেওয়া হয়।

এদিকে ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন যে, ওয়াশিংটন ডিসির মেয়র মুরিয়েল বাউসার হোয়াইট হাউসের আশেপাশে বিক্ষোভ সামলানোর জন্য নগর পুলিশকে দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি দেননি। তবে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা বলছেন, ওয়াশিংটন পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।

প্রসঙ্গত, মিনিয়াপোলিস শহরে পাঁচদিন আগে ৪৬ বছর বয়সী কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডকে হাঁটুর নিচে চেপে রেখে হত্যা করেন শ্বেতাঙ্গ এক পুলিশ সদস্য। তার মৃত্যুর প্রতিবাদে দেশব্যাপী হাজার হাজার লোক রাস্তায় বিক্ষোভ করে এবং সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তার এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না মার্কিনিরা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ সদস্য ডেরেক চওভেন দুই পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। আর তার হাঁটুর নিচে চাপা পড়ে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড বাঁচার তীব্র আঁকুতি করছেন। পাঁচ মিনিটের বেশি সময় ধরে হাঁটুচাপা দিয়ে রাখা হাতকড়া পড়ানো জজং ফ্লয়েডকে এসময় বারবার বলতে শোনা যায়, তিনি নিশ্বাস নিতে পারছেন না।

এদিকে, নিহতের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। জর্জ ফ্লয়েডের ভাই ফিলোনাইজ ফ্লয়েড ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথায় ন্যায়বিচারের দাবি জানাতে পারলেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাকে কোনো কথাই বলতে দেননি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত