২৬ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গুলি করে হত্যা

অবিলম্বে খুনিদের শাস্তি চায় বাংলাদেশ

প্রকাশ | ২৯ মে ২০২০, ০৪:৫১ | আপডেট: ২৯ মে ২০২০, ১৬:১৩

অনলাইন ডেস্ক

ভূমধ্যসাগরীয় দেশ লিবিয়ায় ২৬ বাংলাদেশিসহ ৩০ অভিবাসী শ্রমিককে গুলি করে হত্যা করেছে একটি মানবপাচারকারী চক্রের সদস্যরা। সাহারা মরুভূমি অঞ্চলের মিজদা শহরের এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতদের ২৬ জন বাংলাদেশি ও বাকি চারজন আফ্রিকান।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) দেশটির মিজদা শহরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লিবিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস।

দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত এস কে সেকেন্দার বলেন, ২৬ জন বাংলাদেশি নিহত এবং ১২ জন আহত হওয়ার খবর জানতে পেরেছি। আমরা এখানকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ভারবাল নোট দিয়েছি। তদন্ত ও দোষী ব্যক্তিদের শাস্তির বিষয়ে বলা হয়েছে। এখন তাদের লিখিতভাবে জানাবো।

রাষ্ট্রদূত জানান, যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। সেখানে কারও নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানে দুপক্ষের যুদ্ধ চলমান। দুপক্ষের ফ্রন্ট-লাইনে পড়েছে এই মিজদাহ শহর। ঘটনাটি যারা ঘটিয়েছে তারা মিলিশিয়া এবং মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত বলে আমরা জানতে পেরেছি। এখন এটা অভ্যন্তরীণ কোন্দল হতে পারে আবার প্রতিশোধমূলক হত্যাও হতে পারে।

এদিকে ঢাকা থেকে এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ওই বাংলাদেশিদের আটকে রাখা হয়েছিল অর্থের জন্য। এক পর্যায়ে ওই দলের একজনের সঙ্গে হাতাহাতি হলে ওই পাচারকারী মারা যায়। এর প্রতিশোধ হিসাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হতে পারে বলে জানান তিনি।

এদিকে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় মোট ৩০ জন নিহত হয়েছে। লিবিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে ২৬ বাংলাদেশি ও চারজন আফ্রিকান অভিবাসী। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১১ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

প্রবাসীদের কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব নাসরিন জাহান বলেন, আমরা বিস্তারিত জানতে শ্রম পরামর্শদাতার (লিবিয়ার) সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। মনে হচ্ছে, হত্যার আগেই তাদের অপহরণ করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) লিবিয়ার মুখপাত্র সাফা ম্যাসহির বলেন, এই ট্র্যাজেডি থেকে আমরা শেখার চেষ্টা করছি এবং আরও বিস্তারিত জানান চেষ্টা করছি। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যারা বেঁচে আছে তাদেরকে পাশে আছে আইওএম।