চিকিৎসকরা আমার বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন: বরিস জনসন
প্রকাশ : ০৩ মে ২০২০, ১৩:৩১
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘অস্বীকার করব না– এটি কঠিন স্মৃতি। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে আইসিইউতে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা আমার বাঁচার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। তারা আমার মৃত্যু ঘোষণা দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।’
২ মে (রবিবার) দ্য সানকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন খোদ ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
আইসিইউতে থাকার দুঃসহ স্মৃতির কথা স্মরণ করে জনসন বলেন, ‘নিবিড় পর্যবেক্ষণকেন্দ্রে আমাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকরা ‘লিটার-লিটার’ অক্সিজেন দেন। শ্বাসনালি দিয়ে টিউব প্রবেশ করানোর সময় বাঁচার সম্ভাবনা ফিফটি-ফিফটি চলে আসে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ২৭ মার্চ করোনা পজিটিভ হন। প্রথমে বাসায়ই চিকিৎসা নেন। এর ১০ দিন পর জ্বর, কাশিসহ উপসর্গগুলো না কমায় তাকে সেন্ট্রাল লন্ডনের সেন্ট টমাস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইসিইউতে বেশ কয়েক দিন থেকে বাড়ি ফিরতে সক্ষম হন তিনি।
হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে গত বুধবার ছেলেসন্তানের মুখ দেখেন বরিস। জনসন ও তার বান্ধবী সিমন্ড জানিয়েছেন, চিকিৎসকদের উৎসর্গ করে ছেলের নাম রেখেছেন উইলফ্রেড ল্যারি নিকোলাস জনসন।
নিকোলাস রেখেছেন ড. নিক প্রাইস এবং ড. নিক হার্টের নামানুসারে, যারা গত মাসে তার ‘জীবন রক্ষা করেছেন’।
জনসন জানান, ‘ডাক্তাররা আমাকে সর্বোচ্চ সেবা দিয়েছেন। করোনা থেকে বাঁচায় নিজেকে সৌভাগ্যবান ভাবছি।’