করোনাভাইরাসে এক সপ্তাহে ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু

প্রকাশ : ১৮ এপ্রিল ২০২০, ০৪:৫৩

সাহস ডেস্ক

বিশ্বজুড়ে ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়েছে করোনাভাইরাস। ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত ২২ লাখ ছাড়িয়েছে করোনাভাইরাস শনাক্ত মানুষের সংখ্যা। একই সময়ে মারা গেছে দেড় লাখের বেশি মানুষ (রাত ২টা পর্যন্ত ১,৫১,০০৬ জন)। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিনস বিশ্ববিদ্যালয় এই তথ্য জানিয়েছে।

করোনায় মৃত্যুর তথ্য বলছে, প্রথম মৃত্যুর পর ৫০ হাজার ছাড়াতে সময় লেগেছে ৮২ দিন। আর এর পরের ৫০ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে সময় লেগেছে মাত্র ৮ দিন। একদিন কমে পরের সাত দিনেই মারা গেছে আরও ৫০ হাজার। মাত্র এক সপ্তাহে পৃথিবী থেকে নেই হয়ে গেল ৫০ হাজার মানুষ।

১১ জানুয়ারি প্রথম মৃত্যুর পর ২ এপ্রিল ৫০ হাজার ছাড়ায় করোনায় মুত্যু। এরপর ১০ এপ্রিল এটি ছাড়িয়ে যায় ১ লাখ। আর ১৭ এপ্রিল এসে ১ লাখ ৫১ হাজার ৬ জন।

করোনা–আক্রান্ত ৮০ শতাংশ মানুষ ইউরোপ আমেরিকার। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই আছে আক্রান্তের প্রায় ৩১ শতাংশ মানুষ। মৃত্যুর দিকে থেকও শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র।

দেশটিতে এখন পর্যন্ত মারা গেছে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর শীর্ষ ১০টি দেশের মধ্যে ৭টি ইউরোপের। আর বাকি দুটি দেশ এশিয়ার।

শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে ইতালিতে ২২ হাজার ৭৪৫, স্পেনে ১৯ হাজার ৬১৩, ফ্রান্সে ১৮ হাজার ৮৬১, যুক্তরাজ্যে ১৪ হাজার ৫৭৬, বেলজিয়ামে ৫ হাজার ১৬৩, ইরানে ৪ হাজার ৯৫৮, চীনে ৪ হাজার ১৯৩, জার্মানিতে ৪ হাজার ১৯৩ ও নেদার‍ল্যান্ডসে মারা গেছে ৩ হাজার ৪৫৯ জন। এর মধ্যে চীন নতুন করে মৃত্যুর তথ্য সংশোধন করেছে। এতে আগের চেয়ে ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এরপরও চীনের অবস্থান অষ্টম।

তবে মৃত্যুর হারের দিক থেকে সবচেয়ে এগিয়ে বেলজিয়াম। দেশটিতে আক্রান্তের ১৪ শতাংশ মানুষ মারা গেছে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছে ৩৬ হাজার। এর মধ্যে মারা গেছে ৫ হাজারের বেশি মানুষ।

যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে ১৩ শতাংশ, ফ্রান্সে ১২ শতাংশ, নেদারল্যান্ডসে ১১ শতাংশ ও স্পেনে প্রায় সাড়ে ১০ শতাংশ মানুষ মারা গেছে। তবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আছে জার্মানি। আক্রান্তের দিক থেকে দেশটি পাঁচ নম্বরে থাকলেও মৃত্যুর হারের দিকে থেকে শীর্ষ ১০ দেশের মধ্যে দেশটির অবস্থান দশম। ১ লাখ ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি।

করোনা আক্রান্তের শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত মৃত্যু হার কমিয়ে রাখতে পেরেছে। প্রায় ৭ লাখ করোনা শনাক্ত রোগীর মধ্যে মারা গেছে ৫ শতাংশের মতো। তবে দেশটিতে প্রতিদিনই মৃত্যু বাড়ছে। সুস্থ হয়েছে মাত্র ৫৬ হাজারের বেশি মানুষ। ৬ লাখের বেশি করোনা আক্রান্ত এখনো চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া চীনে মারা গেছে ৪ শতাংশ আর ইরানে ৬ শতাংশের কিছু বেশি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত