সিএএ: ১৩ হাজার ফোনকল পেয়েও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ

প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:৫৩

সাহস ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের (সিএএ) সমর্থক ও বিরোধীদের সংঘর্ষ চলাকালীন দিল্লি পুলিশের কাছে ১৩ হাজার ২০০টি ফোন গিয়েছিল। কোথাও গুলি চলছে, কোথাও গাড়ি পুলিয়ে দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ এলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

পাঁচদিনব্যাপী দফায় দফায় চলা এই সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠে ভারতের রাজধানী দিল্লি। পুলিশ-প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার জন্যই সহিংসতা চরম আকার ধারণ করে বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, ফোনে বারবার অভিযোগ করা সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

স্থানীয় বাসিন্দাদের এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতেই পুলিশ কন্ট্রোল রুমের কল লগ খতিয়ে দেখা হয়। তাতে দেখা যায়, বিক্ষোভের প্রথমদিন (২৪ তারিখ) সোমবার সন্ধ্যাতেই ৭০০ ফোন গিয়েছিলো পুলিশের কাছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭ হাজার ৫০০ ফোন পায় পুলিশ। তারপর দিন অর্থাৎ ২৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ৫০০টি ফোন পায় পুলিশ।

শুধুমাত্র যমুনা বিহার থেকেই ভজনপুরা থানায় ২৪-২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার ফোন এসেছিল বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি ও আনন্দবাজার পত্রিকা।

ভজনপুরা থানার আট পাতার কল রেজিস্টার খতিয়ে দেখে তারা জানিয়েছে, কোন নম্বর থেকে ফোন আসছে, কী অভিযোগ এবং তার প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তারজন্য রেজিস্টারের পাতায় আলাদা আলাদা কলাম থাকলেও, শুধুমাত্র কোথা থেকে ফোন এসেছিল, কী অভিযোগ তা-ই লেখা রয়েছে। এমনকি গুলি চলা এবং আগুন লাগানোর অভিযোগও লেখা রয়েছে তাতে। কিন্তু অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তার উল্লেখ নেই সেভাবে। অর্থাৎ অভিযোগ পেয়েও অধিকাংশক্ষেত্রেই কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।

এদিকে উত্তর প্রদেশের মতো দিল্লিতেও সহিংসতার ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস ও ভাঙচুরের ক্ষতিপূরণ আদায় করবে পুলিশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লি পুলিশের দুই কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা ক্রাইম ব্রাঞ্চের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমস (এসআইটি) ও স্থানীয় পুলিশের কাছে পাঠানো হয়েছে। এতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে জন প্রশাসন ও দিল্লি সরকারের সঙ্গে সমন্বয় করার কথা বলা হয়েছে বলে জানিয়েছে এক কর্মকর্তা।

রবি থেকে বুধবার পর্যন্ত কয়েকশ কোটি রুপি মূল্যের সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে বলে ধারণা করছে দিল্লি পুলিশ। তারা বলছে, পূর্ব দিল্লি পৌর কর্পোরেশন ও বিদ্যুৎ কোম্পানি বিএসইএস’র সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ, সেবার পুনরায় চালু ও আক্রান্ত এলাকা থেকে ধ্বংসস্তূপ ও পুড়ে যাওয়া যানবাহান সরানোর জন্য।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত