ভারতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনাভাইরাস: মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা

প্রকাশ : ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:২৬

সাহস ডেস্ক

ভারতে করোনাভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, উপমহাদেশটিতে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে তা হবে ভয়াবহ। চীনের বাইরেও অন্যান্য দেশে করোনাভাইরাসের গতিবিধির ওপর বিশেষ নজর রাখছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। কোন দেশের সরকার করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কতটা প্রস্তুত, সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে। সেই পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে ভারত প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করেছে।

মার্কিন গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘনজনসংখ্যার এই দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা ‌অত্যন্ত সীমিত বলে মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। তাই চীনের পরে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য ক্ষেত্র হিসেবে যে দেশ তাদের সবচেয়ে চিন্তায় রেখেছে তা হলো ভারত। করোনাভাইরাসের হামলা ঠেকাতে যতটা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হয়, তা এই দেশের বেশিরভাগ জায়গাতেই নেই।

এদিকে ইরানের করোনাভাইরাসের পরিস্থিতি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। দেশটিতে করোনাভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে অন্তত ২১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে ইরানেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ‘চূড়ান্ত পর্যায়ে’ পৌঁছেছে এবং মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান ড. টেড্রস আধানম গেব্রেইয়েসাস। এরই প্রেক্ষিতে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান ড. টেড্রস অ্যাডহানম গেব্রেইয়েসুস বলেন, এই জিনিসটি (করোনাভাইরাস) এখন যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে। এর যে ঝুঁকি সেটাকে আমরা দুর্বল করে দিতে পারছি না। এজন্য আজ আমরা বলছি, করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক ঝুঁকি এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। আগে আমরা বলেছি, উচ্চ ঝুঁকি। এখন বলছি সর্বোচ্চ ঝুঁকি।

প্রসঙ্গত, বিশ্বব্যাপী ৫৪টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮৫৮ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৭৯ জন। অপরদিকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৬ হাজার ৪৩৬ জন।

করোনাভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছে ৭৮ হাজার ৮২৪ জন, মারা গেছে ২ হাজার ৭৮৮ জন। অপরদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ২২ এবং মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের।

সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, নাইজেরিয়া, বেলারুশ ও লিথুয়ানিয়াও নিজেদের দেশে প্রথম করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া-কোনো মহাদেশ বাদ যায়নি এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত