রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের দ্বার উন্মোক্ত হয়েছে: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৭

সাহস ডেস্ক

দুটি আন্তর্জাতিক আদালতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগে রোহিঙ্গাদের ন্যায় বিচারের দ্বার উন্মোক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)। প্রতিবেদনে তারা জানিয়েছে, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা ও অন্যান্য জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচারের জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সংস্থাটি ৬৫২ পৃষ্ঠার বিশ্ব রিপোর্ট ২০২০ এর ৩০তম সংস্করণে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ প্রায় ১০০টি দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যালোচনা করেছে।

সংগঠনটির এশিয়ার উপপরিচালক পিল রবার্টসন বলেন, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার বিষয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক আদালতে ন্যায় বিচারের দ্বার উন্মোক্ত হয়েছে।

মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা চালিয়েছে এমন অভিযোগ এনে গত নভেম্বরে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে মামলা করে পশ্চিম আফ্রিকার মুসলিম দেশ গাম্বিয়া। এই বিষয়ে নেদারল্যান্ডসের হগে শুনানি হয় ২০১৯ সালের ১০ থেকে ১২ ডিসেম্বর। এতে মিয়ানমারের পক্ষে স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি অংশ নেন। সে সময় তিনি রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন।

নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)- ২০১৬ সালের অক্টোবরের পর থেকে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ, নির্বাসনসহ অন্যান্য অমানবিক কাজ এবং নির্যাতনের তদন্তের জন্য প্রসিকিউটরকে অনুমতি দিয়েছে। আদালত ইতোমধ্যে নির্বাসন ও অন্যান্য সম্পর্কিত অপরাধের বিষয়ে তার এখতিয়ারের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।

মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এক কঠোর বিদ্রোহ দমন অভিযান শুরু করে। এসময় গণধর্ষণ, হত্যা ও ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয়াসহ জাতিগত নির্মূল অভিযান থেকে বাঁচতে ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গা পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।

এছাড়া মিয়ানমারে প্রায় ৬ লাখ রোহিঙ্গা মারাত্মক পরিস্থিতিতে জীবনযাপন করছেন। সরকারের নিপীড়ন, সহিংসতা, চলাচলে চরম নিষেধাজ্ঞার শিকার এবং বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন তারা।

রবার্টসন বলেন, অং সান সু চি এবং তার ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি সরকার সামরিক শাসনের সময় প্রণীত দমনমূলক আইনগুলো বাতিল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এর পরিবর্তে তারা এই আইনগুলো তাদের সমালোচকদের ওপর ব্যবহার করছে এবং এমনকি নতুন দমনমূলক আইন প্রবর্তন করেছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত