চীনে ছড়িয়ে পড়েছে রহস্যজনক নিউমোনিয়া ভাইরাস

প্রকাশ : ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৭:৪৫

সাহস ডেস্ক

চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশে নতুন এক রহস্যজনক নিউমোনিয়া জাতীয় ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। রহস্যজনক এই ভাইরাসের সঙ্গে প্রাণঘাতী রোগ সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের (সার্স) মিল রয়েছে; যা নিয়ে দেশটির নাগরিকরা বেশ উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন।

আজ ৯ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দেশটির রাষ্ট্রীয টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীনের বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত ৫৭ জন রোগীর মধ্যে ১৭ জনের শরীরে নতুন করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছেন। হুবেই প্রদেশের উহানে এসব রোগী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। নতুন ভাইরাসের বিস্তারের জন্য প্যাথোজেনকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা হয়েছে।

সিসিটিভি বলছে, উহানে শনাক্ত নিউমোনিয়া জাতীয় নতুন করোনাভাইরাসটি সার্স কিংবা মার্স ভাইরাসের মতো নয়। নতুন এই ভাইরাসের প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর। তবে বেশ কয়েকজন রোগী শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যায় ভুগছেন।

গতকাল ৮ জানুয়ারি (বুধবার) আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ৮ জনকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারও প্রাণহানি এখনও ঘটেনি।

উহানে প্রথম নতুন এই ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয় গত ১২ ডিসেম্বর। তখন থেকে এখন পর্যন্ত ৫৯ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে; যারা নতুন ভাইরাসে আক্রান্ত। চীনা স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু কিছু পর্যায়ে আক্রান্তদের মধ্যে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।

উহানের স্বাস্থ্য বিভাগ বলেছে, নতুন এই সংক্রমণের কারণ খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। স্বাস্থ্য বিভাগটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, সংক্রমণের বেশ কয়েকটি উৎস, যেমন ইনফ্লুয়েঞ্জা, এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং শ্বাসকষ্ট সংক্রান্ত অন্যান্য রোগের সংশ্লিষ্টতা নেই।

এছাড়া মানুষ থেকে মানুষে সংক্রমণের কোন উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলে জানানো হয়েছে। তবে আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারে কাজ করতেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বলছে, ভাইরাল নিউমোনিয়া হওয়ার অনেকগুলো সম্ভাব্য উপসর্গ রয়েছে।

এই উপসর্গগুলো সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি সিনড্রোমের ভাইরাসের তুলনায় এই ভাইরাসেই বেশি দেখা যায়। ডব্লিউএইচও এ বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ১৮ বছর আগে চীনে সার্স ভাইরাস মহামারির আকার ধারণ করেছিল। ২০০২-০৩ সালের ওই মহামারিতে বিশ্বের ৩৭টি দেশের ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। শুধু চীনেই ৩৪৯ এবং হংকংয়ে ২৯৯ জন মারা যান।

খবর- জাগো নিউজ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত