ভারতে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজন গুলিতে নিহত

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:৫৭ | আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:২১

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের তেলেঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে তরুণী পশুচিকিৎসককে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন গ্রেপ্তার চারজন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। পুলিশ হেফাজত থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত এই চারজনের।

শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

পুলিশের ভাষ্য, ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিরা পুলিশের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তারা পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ গুলি ছোড়ে। এতে চার সন্দেহভাজন নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন।

এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হায়দ্রাবাদ পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তারের পর শুক্রবার ভোর রাত ৩টার দিকে তদন্তের উদ্দেশে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ওই এলাকা থেকেই এক সপ্তাহ আগে উদ্ধার করা হয়েছিল তরুণীর দগ্ধ লাশ।

সেখানে গ্রেপ্তাররা অস্ত্র কেড়ে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায় এবং তাতে চারজন নিহত হয় বলে পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজানারের ভাষ্য।

হায়দারাবাদ পুলিশের শীর্ষ সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে যে অভিযুক্ত মোহাম্মদ আরিফ, নবীন, শিব এবং চেন্নাকসভুলু পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।

গত ২৮ নভেম্বর রাতে ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক ঘটনা। হায়দরাবাদের কাছে ২৭ বছর বয়সী এক তরুণী চিকিৎসককে টুল-বুথের কাছে স্কুটার রেখে যেতে দেখে ওই চার অভিযুক্ত ব্যক্তি। পেশায় তারা ছিল ট্রাকচালক ও খালাসি। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্কুটারের টায়ার পাংচার করে তার ফিরে আসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। মেয়েটি ফিরে আসার পর ওই চারজন তাকে সাহায্য করার ভান দেখিয়ে এগিয়ে আসে, আর তারপরেই ঘটে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায়।

প্রথমে চারজনে মিলে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে দেয় ওই পশু চিকিৎসককে। পরে ওই চিকিৎসকের পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করা হলে তেলেঙ্গানা জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়।