ব্রিটিশ রাজনীতিতে ট্রাম্পকে জড়াতে না করেছেন বরিস জনসন

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০১৯, ১৫:৪৮

সাহস ডেস্ক

আগামী সপ্তাহে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে লন্ডন সফরে যাবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল ট্রাম্প। তবে এই সম্মেলনে এসে ট্রাম্পকে ব্রিটিশ রাজনীতিতে জড়াতে না করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

বরিস জনসন বলেছেন, ‘আগামী সপ্তাহে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলন উপলক্ষে লন্ডন সফরে এসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ব্রিটিশ রাজনীতিতে জড়িয়ে না পড়েন, তাহলে সেটা খুবই ভালো হবে।’

নির্বাচনী জরিপে জয়ের পথে রয়েছেন লন্ডনের সাবেক এই মেয়র ও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এলবিসি রেডিওকে ৫৫ বছর বয়সী বরিস জনসন বলেন, ‘পছন্দনীয় মিত্র ও বন্ধুদের মতো ঐতিহ্যগতভাবে আমরা এটা করতে পারি না। আমরা পরস্পরের নির্বাচনী প্রচারে জড়িয়ে পড়তে পারি না।’

তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে ভালো কাজ হয়, যখন যুক্তরাষ্ট্রের মতো আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু থাকে এবং দুই দেশই পরস্পরের নির্বাচনে সম্পৃক্ত না হই।’

ক্ষমতায় থাকতে পারলে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পন্ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বরিস।

আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) লন্ডনে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে বরিস যতোই না করুক না কেন ট্রাম্প কিন্তু ধীরে ধীরে অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় ব্রিটিশ নির্বাচনে নিজেকে জড়িয়ে ফেলছেন।

ইতিমধ্যে তিনি বলেও ফেলেছেন যে বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খুবই খারাপ হবেন। কাজেই ব্রেক্সিট পার্টির নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে বরিস জনসনের একটি চুক্তিতে আবদ্ধ হওয়া উচিত।

গতকাল শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ট্রাম্প প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘অনেকটা অবচেতনেই অন্য দেশের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ছেন ট্রাম্প।’

কিন্তু কনজারভেটিভ পার্টির সিনিয়র নেতারা আগেভাগেই বিচলিত হয়ে রয়েছেন যে ট্রাম্প যখন লন্ডনে আসবেন, তখন তাদের নির্বাচনী প্রচারকে হতাশায় ফেলে দিতে পারেন তিনি।

এমন এক সময় তিনি দেশটিতে আসবেন, যখন বরিস জনসনকে ব্রিটেনের ট্রাম্পে বলে আখ্যায়িত করা হচ্ছে।

এর আগের সফরে ব্রেক্সিট নীতি নিয়ে বরিসের পূর্বসূরি তেরেসা মের সমালোচনা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

খবর- বার্তা সংস্থা রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত