'ব্রেক্সিট' বিলম্বিত করার অনুরোধ বরিসের

প্রকাশ : ২০ অক্টোবর ২০১৯, ১২:১৭

সাহস ডেস্ক

ব্রেক্সিট ইস্যুকে আরও বিলম্বিত করার অনুরোধ জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে স্বাক্ষরবিহীন একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবে স্বাক্ষর করা আরও একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া হবে একটি ভুল পদক্ষেপ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, নিজের করা ব্রেক্সিট চুক্তি শনিবার পার্লামেন্টের ভোটে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর ইইউয়ের কাছে এসব চিঠি পাঠান জনসন।  

এর আগে আরও তিনবার ইইউ থেকে সরে আসার চেষ্টা করেছিলেন বরিস। তবে ব্রিটিশ এমপিদের উদ্যোগে তা ব্যর্থ হয়। 

ব্রেক্সিটের জন্য নির্ধারিত ৩১ অক্টোবরের চূড়ান্ত সীমা পেছানোর জন্য ‘মরে গেলও’ তিনি কোনো অনুরোধ করতে পারবেন না বলে এর আগে জানিয়েছিলেন জনসন।

গত শনিবার (১৯ অক্টোবর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও অধিবেশন চলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে। ভোট হওয়ার কথা থাকলেও সেদিন তা ব্যর্থ হয়ে যায়। 

গত মাসে পার্লামেন্টে বিরোধীদের পাস করা একটি আইন অনুযায়ী ব্রেক্সিটের চূড়ান্ত সময়সীমা ৩১ জানুয়ারি (২০২০) পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করে ইইউয়ের কাছে চিঠি পাঠাতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের কাছে জনসন মোট তিনটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ব্রিটিশ সরকারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে। এরমধ্যে একটি বেন অ্যাক্ট নামের সেই আইনের ফটোকপি যা জনসনকে চিঠি লিখতে বাধ্য করেছে; দ্বিতীয়টি, ব্রিটিশ সরকার শুধু এ আইন অনুযায়ী কাজ করছে এমনটি জানিয়ে ইইউতে নিযুক্ত ব্রিটিশ দূতের পাঠানো একটি নোট এবং তৃতীয় আরেকটি চিঠি যেটিতে জনসন জানিয়েছেন তিনি সময় আর বাড়াতে চান না। 

তৃতীয় যে চিঠিটি জনসন পাঠিয়েছেন সেটি টুইটারে প্রকাশ করেছেন ফিনান্সিয়াল টাইমস ব্রাসেলসের প্রতিনিধি।

ওই চিঠিতে জনসন বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই আমি বলে আসছি এবং আজ পার্লামেন্টকেও বলেছি, আমার দৃষ্টভঙ্গী ও সরকারের অবস্থান হচ্ছে, সময় আরও বাড়ালে যুক্তরাজ্য ও আমাদের ইইউ অংশীদারদের স্বার্থ এবং আমাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।”

এদিকে বরিস জনসনের চিঠি পাওয়া প্রসঙ্গে করা এক টুইট বার্তায় ডোনাল্ড টাস্ক জানিয়েছেন, “কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো হবে তা নিয়ে আমি এখন ইইউ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করবো।”

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত