এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন বিরোধী দলের বিধায়ক অনন্ত কুমার

প্রকাশ | ৩১ আগস্ট ২০১৯, ১৭:৩৯

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় আসাম প্রদেশ থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন আসামের দ্বিতীয় শক্তিশালী বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) বিধায়ক অনন্ত কুমার মালো।

শনিবার (৩১ আগস্ট) প্রকাশিত জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকার ঠাঁই পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ মানুষ।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার বলছে সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত নাগরিক পঞ্জিকা থেকে বাদ পড়া ব্যক্তিদের এখনই বিদেশি বলে গণ্য করা হবে না।

এক বিবৃতিতে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারী ৩ কোটি ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৬৬১ জনের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।

এনডিটিভি বলছে, যারা এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন, তারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন। এই আবেদনের সময়সীমা ৬০ দিন থেকে বাড়িয়ে ১২০ দিন করা হয়েছে।

দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, শুনানির জন্য মোট ১ হাজার ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করা হবে। ইতোমধ্যে ১০০টি ট্রাইব্যুনাল চালু করা হয়েছে এবং আরও ২০০টি ট্রাইব্যুনাল সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে চালু করা হবে।

এদিকে বৈধ অধিবাসীদের শনাক্ত করতে এবং অবৈধ অভিবাসীদের উচ্ছেদ করতে এই নাগরিকত্ব নিবন্ধন কতটা সফল হবে তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আসামের মন্ত্রী হেমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি বলেন, বিদেশিদের থেকে মুক্তি পেতে এই তালিকা সত্যিকার অর্থে সহায়ক হবে বলে খুব একটা বিশ্বাস করি না।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত আসাম থেকে বাংলাদেশিদের শনাক্ত এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর দাবিতে আন্দোলন হয়। ১৯৫১ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো আসামে জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকা প্রকাশ করা হলো।

এমন এক সময় আসামের এই নাগরিক তালিকা প্রকাশ করা হলো; যার কয়েক সপ্তাহ আগে বিতর্কিত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে দেশটির ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদির সরকার। কাশ্মীরের পর আসামের এই নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশের ঘটনাকে নরেন্দ্র মোদি সরকারের দ্বিতীয় বৃহত্তম পদক্ষেপ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।