জম্মুতে প্রত্যাহার, কাশ্মীরে বিধিনিষেধ থাকবে আরও কিছুদিন

প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০১৯, ১৯:২৩

জম্মুতে ভারত সরকার কতৃক আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুরোপুরি প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন সেখানকার জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ কর্মকর্তা। তবে কাশ্মীরে আরও কিছুদিন কড়া বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) শ্রীনগরে এক সংবাদ সম্মেলনে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মুনির খান এই ঘোষণা দেন।

পুলিশ কর্মকর্তা মুনির খান বলেন, জম্মুতে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো পুরোপুরি প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে কাশ্মীরের কিছু জায়গায় এখনও কিছু সময়ের জন্য নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত থাকবে। জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। এই থমথমে পরিস্থিতিতেও উপত্যকায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেনি। এই মুহূর্তের মূল লক্ষ্য হলো রাজ্য জুড়ে শান্তিপূর্ণভাবে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন নিশ্চিত করা।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিষেধাজ্ঞাগুলো পর্যায়ক্রমে প্রত্যাহারের ঘোষণার একদিনের মাথায় নিষেধাজ্ঞা শিথীল করার এই ঘোষণা করা হল।

গত ৪ অগাস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করে বিজেপি সরকার। পাশাপাশি কাশ্মীরকে ভেঙে দুই টুকরো করা হয়। ফলে জম্মু এবং কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয়ভাবে শাসিত রাজ্য হিসেবে পরিচালিত হবে। আর লাদাখ কেন্দ্রশাসিত তৃতীয় একটি এলাকা হিসেবে বিবেচিত হবে।

এই ঘোষণার পরই কাশ্মীরে রাজধানী শ্রীনগর আর জম্মু অঞ্চলে ১৪৪ ধারা জারি করা হয় এবং সব স্কুল-কলেজ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ, মোবাইল-টেলিফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ এবং মেহবুবা মুফতিসহ কাশ্মীর উপত্যকার প্রায় ৪০০ জন রাজনৈতিক নেতা এখনও আটক রয়েছেন। ৫০ হাজারের বেশি সেনা জম্মু ও কাশ্মীরের রাস্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) জম্মু ও কাশ্মীরে নিষেধাজ্ঞা আরোপকে ন্যায়সঙ্গত বলে দাবি করে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রাণহানি অথবা বিধিনিষেধ, এই দুটোর মধ্যে বিধিনিষেধকেই বেছে নিয়েছিল সরকার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত