নরওয়ে হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ যুবকটির চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

প্রকাশ | ১৩ আগস্ট ২০১৯, ০২:১০

গত শনিবার নরওয়ের রাজধানী অসলোর উপকণ্ঠে আল নূর মসজিদে হামলা করেছিলেন ফিলিপ ম্যানশুয়াজ নামে ২১ বছর বয়সী এক শ্বেতাঙ্গ যুবক। এই হামলায় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা ৭৫ বছর বয়সী এক মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হন। এর আগে নিজ বাড়িতে ১৭ বছরের সৎবোনকে হত্যা করে এসে এ হামলা চালান শ্বেতাঙ্গ যুবকটি। আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে হাজির করেন পুলিশ।

আজ ১৩ আগস্ট (সোমবার) শ্বেতাঙ্গ যুবককে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে অভিযুক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আনা হয়।

আজ শ্বেতাঙ্গ যুবককে আদালতে আনা হলে তার চোখ-মুখ আর গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়। তদন্তের স্বার্থে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন বলে পুলিশ আবেদন করলে তার আরও চার সপ্তাহ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

উল্লেখ্য শনিবার অসলোর বায়িরাম এলাকার আল নূর ইসলামিক সেন্টারে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারীর মতো দুই হাতে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে নরওয়ের নাগরিক শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসী ফিলিপ ম্যানশুয়াজ এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে।

এতে নামাজ পড়তে আসা ৭৫ বছর বয়সী এক মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হয়েছে গুরুতর আহত হয়েছেন। কিন্তু এ সময় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রফিক (৬৫) নিজের জীবন বাজি রেখে হামলাকারীকে জাপটে ধরেন।

এ কারণে ক্রাইস্টচার্চের মতো বড় ধরণের হত্যাযজ্ঞ থেকে রক্ষা পান মুসল্লিরা। মুসল্লিদের জীবন বাঁচিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাক বিমান বাহিনীর ওই কর্মকর্তা।

পরে পুলিশ এসে হামলাকারীকে আটক করেছে তার বাড়িতে অভিযান চালালে সেখানে তার ১৭ বছরের সৎবোনের পড়ে থাকা রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পুলিশের ধারণা বোনকে হত্যা করেই মসজিদে হামলা চালাতে যায় ওই হামলাকারী।

মসজিদ কমিটির পরিচালক ইরফান মুসতাক স্থানীয় পত্রিকাকে বলেন, হেলমেট ও ইউনিফর্মধারী শ্বেতাঙ্গ সন্ত্রাসীর গুলিতে এক মুসল্লি গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।