হরমুজ প্রণালিতে ব্রিটিশ জাহাজ আটক

প্রকাশ : ২০ জুলাই ২০১৯, ১৫:২৬

ইরানের হরমুজ প্রদেশে একটি ব্রিটিশ তেলবাহী জাহাজ আটকে আবারও উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে উঠেছে। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাজ্য।

তবে ইরান বলছে, তেলবাহী জাহাজটি দুর্ঘটনা কবলে পড়েছিল। জাহাজটি একটি মাছ ধরা জাহাজের সাথে ধাক্কা লাগায় বন্দার আব্বাস পোর্ট কর্তৃপক্ষ ব্রিটিশ জাহাজকে সিগন্যাল পাঠায়। ব্রিটিশ জাহাজটি তা অমান্য করলে বন্দর কর্তৃপক্ষ জাহাজটি থামায় এবং আটক করে।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ফারস জানিয়েছে, জাহাজে ক্রু এর সংখ্যা ২৩ এবং সবাই জাহাজেই অবস্থান করছে। গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়া সাপেক্ষে জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে তারা। 

দক্ষিণ হরমুজ প্রদেশের পোর্ট ও মেরিটাইম কর্তৃপক্ষের প্রধান আল্লামোরাদ আফিফিপৌর বলেছেন, "জাহাজটির সাথে ইরানি মাছ ধরা জাহাজের দুর্ঘটনার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। মাছ ধরা জাহাজটি দুর্ঘটনার আগে সতর্ক বার্তা পাঠালেও তা অমান্য করে ব্রিটিশ জাহাজটি।"

তিনি আরোও বলেন, "অভিজ্ঞদের মাধ্যমে শনিবার থেকেই ঘটনার তদন্ত শুরু হবে।"

এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, স্টেনা ইমপেরো ট্যাংকারটিকে সাগরে চারটি যান ও আকাশে হেলিকপ্টার ঘিরে রেখেছে। 

জেরেমি হান্ট আরও বলেন, ‘উদ্ভূত পরিস্থিতির শিগগির সমাধান না হলে ফলাফল ভয়াবহ আকার ধারণ করবে। আমরা সামরিক পদক্ষেপের কথা ভাবছি না। কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের কথাই ভাবছি। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করতে চাই যে এটার সমাধান হতেই হবে। তেহরানে আমাদের রাষ্ট্রদূত ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আমরা আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গেও এ ব্যাপারে কাজ করছি।’ 

তবে ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ড অনুমোদিত বার্তা সংস্থা দ্য তাসনিম ইরানের বন্দর ও উপকূলবর্তী সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ব্রিটিশ তেলবাহী ট্যাংকার স্টেনা ইমপেরো সমস্যা করছিল বলে তথ্য ছিল তাদের হাতে। তারা তিনটি নিয়ম ভেঙেছিল। জিপিএস বন্ধ করে রেখেছিল, প্রবেশমুখের দিকে না গিয়ে হরমুজ প্রণালির দিকে যাচ্ছিল এবং সতর্কবার্তা অমান্য করছিল। এ কারণে ট্যাংকারটিকে জব্দ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত