পরিবেশবিদদের ভাষায় যেটি 'ভাসমান চেরনোবিল'

প্রকাশ : ২৯ জুন ২০১৯, ১৮:৪৯

'একাডেমিক লোমোনোসোভ' নামে একটি ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করতে যাচ্ছে রাশিয়া। আগামী মাসে এটি উত্তর সাগর দিয়ে গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। জানা যায়, এটি তৈরী করতে রাশিয়ার প্রায় দুই দশক সময় লেগেছে।

ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করা হয়েছে খনিজ সম্পদ সমৃদ্ধ অঞ্চলগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য। ৪৭২ ফুট প্লাটফর্মের রাশিয়ান পতাকাবাহী এই জাহাজের প্রথম গন্তব্য নির্ধারণ করা হয়েছে মস্কো থেকে প্রায় ৪০০০ মাইল দূরের আর্কটিক পোর্ট অফ পিভেকে। প্রথম দফায় এটি চুকোটকা অঞ্চলে হাইড্রোকার্বন এবং মূল্যবান পাথর সংগ্রহকারী এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। 

এতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরোও উত্তাপ ছড়াবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

পরিবেশবিদরা এই প্রোজেক্টকে আখ্যা করছেন বিধ্বংসী হিসেবেই। এটিকে তারা বলছেন 'চেরনোবিল অন আইস' অথবা 'ভাসমান চেরনোবিল'। তারা এই প্রজেক্টে নিউক্লিয়ার রিএক্টরের তত্ত্বকে বিধ্বংসী বলে মনে করছে।

তবে এই প্রজেক্টের চিফ ইঞ্জিনিয়ার বলছেন অন্য কথা। তিনি জানান, দুটি প্রজেক্টকেই একই ভাবে বর্ণনা করা ঠিক হচ্ছে না। এই যুক্তির কোনো ভিত্তিও নেই। এখানে নিউক্লিয়ার রিএক্টরের তত্ত্বে বেশ ভিন্নতা রয়েছে। তাছাড়া, চেরনোবিলে যা হয়েছে তা আবারও হবার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।

বিষয়টি মোটেই নতুন কিছু নয়। এর আগে আমেরিকা একই ধরণের একটি ভাসমান পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করেছিলো। যা পানামা খালে স্থাপন করা হয়েছিলো ষাটের দশকে। যদিও যুক্তরাষ্ট্র ঐ প্রোজেক্টটি ১৯৭০ সালে পরিবেশ বিপন্ন হতে পারে চিন্তা করে স্থগিত করে দেয়।

রাশিয়াতেও এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। জানা যায়, লোমোনোসোভে রয়েছে দুটি রিএক্টর যার প্রতিটি রিএক্টরে ৩৫ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ উৎপন্ন করা যাবে।

সুত্র: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত