নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিরিয়ায় জার্মান রাসায়নিক

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০১৯, ১৪:৪৫

সাহস ডেস্ক

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও সিরিয়ায় রাসায়নিক দ্রব্য সরবরাহ করেছে কয়েকটি জার্মান প্রতিষ্ঠান৷ এই রাসায়নিক ব্যবহার করে সারিন গ্যাস তৈরি করা যায়৷ এই গ্যাস একাধিকবার সিরিয়া যুদ্ধে ব্যবহার করা হয়েছে৷

জার্মান পত্রিকা স্যুডডয়চে সাইটুং, পাবলিক ব্রডকাস্টার বায়েরিশার রুন্ডফুঙ্ক এবং সুইজারল্যান্ডের টামেডিয়া মিডিয়া গ্রুপ মঙ্গলবার এ বিষয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে৷

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাসায়নিক দ্রব্যের পাইকারি সরবরাহকারী জার্মান প্রতিষ্ঠান ব্রেনটাগ এজি ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডের এক  সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আইসোপ্রোপানল ও ডাইইথিলামাইন নামের রাসায়নিক সিরিয়ায় বিক্রি করেছিল৷ আর এই রাসায়নিকের ক্রেতা এমন একটি সিরিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি, যার সঙ্গে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে৷

প্রতিবেদকদের অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে, সিরিয়ায় সরবরাহ করা ডাইইথিলামাইন বেলজিয়ামের আন্টভের্পের এক কারখানায় উৎপাদন করে জার্মান প্রতিষ্ঠান বিএএসএফ৷ অন্যদিকে, হামবুর্গের এক কারখানায় আইসোপ্রোপানল উৎপাদন করে আরেক জার্মান কোম্পানি সাসোল সলভেন্টস৷

ওষুধ তৈরিতে এসব রাসায়নিক ব্যবহার করা সম্ভব, তবে এ দিয়ে সারিন গ্যাস ও ভিএক্সের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ও নার্ভ এজেন্টও তৈরি করা যায়৷

সিরিয়া যুদ্ধে একাধিকবার সারিন গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে আসদ সরকারের বিরুদ্ধে৷ ২০১৭ সালে আইসোপ্রোপানল ব্যবহার করে সারিন গ্যস তৈরি এবং যুদ্ধক্ষেত্রে তা ব্যবহারের প্রমাণ পায় জাতিসঙ্ঘ৷ খান শাইখুন শহরে এ হামলায় অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটে৷

খবর: ডয়চে ভেলে
সাহস২৪.কম/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত