সিরিয়ার কৃষকদের বিনামূল্যে মুরগি বিতরণ

প্রকাশ : ২৪ জুন ২০১৯, ১৫:৫২

সাহস ডেস্ক

যুদ্ধ-বিধ্বস্ত কৃষি অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে মুরগি ও পোল্ট্রি ফিড বিতরণের উদ্যোগ নিচ্ছে সিরিয়া সরকার৷ ইতোমধ্যে এমন একটি প্রকল্পে ২০ লাখ মার্কিন ডলার অর্থ বরাদ্দও করেছে দেশটি৷

সিরিয়ার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক পরিবার ১৫টি করে ডিমপাড়া মুরগি ও ৫০ কেজি পোল্ট্রি ফিড পাবেন৷  এর মধ্যে ১ বিলিয়ন সিরিয়ান পাউন্ড (২০ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার) বরাদ্দ পেয়েছে এই প্রকল্প৷

বিবৃতিতে বলা হয়, "পোল্ট্রি কৃষিকে উৎসাহিত করা এবং গ্রামীণ কৃষি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা প্রকল্পটির লক্ষ্য।"

সিরিয়ার পূর্ব গোতা এলাকার কৃষি অফিসের কর্মকর্তা মোহাম্মদ মুহিদ্দিন বলেছেন, দেশের যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এলাকার খামার মালিকরাও অন্তর্ভূক্ত থাকছেন প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের মধ্যে৷ স্থানীয়ভাবে এসব মুরগি ও পোল্ট্রি ফিড প্রক্রিয়াজাত করা হবে বলে জানান তিনি৷

কৃষকদের স্বাবলম্বী করা এবং তাদের জমি পুনরায় আবাদ করাই থাকছে এই উদ্যোগের বৃহৎ পরিকল্পনায়৷ কৃষকদের বীজ এবং প্রাণী সম্পদের জন্য ওষুধ ও টিকা সরবরাহের পাশাপাশি সেচের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনাও করছে সিরিয়ান সরকার৷

জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) জানিয়েছে, ২০১১ সালে যুদ্ধ শুরুর আগে সিরিয়ার মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) দ্বিতীয় প্রধান খাত ছিল কৃষি৷ জিডিপির ১৯ শতাংশ এ খাত থেকে আসতো৷ অর্থনৈতিকভাবে সক্রিয় গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর ২৫ শতাংশ ছিল কৃষির সঙ্গে জড়িত৷ দেশটির রপ্তানি আয়ের বড় খাতও ছিল কৃষি৷ পশুসম্পদ রপ্তানি করে প্রতিবছর ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হতো তাদের৷

চলতি বছরে সিরিয়ার সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আট বছরের যুদ্ধে সিরিয়ার কৃষি উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসে৷ কৃষি জমি, শস্য এবং কৃষি অবকাঠামো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদনে এমন ধ্বস নামে৷

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বলছে, সিরিয়ার সাড়ে ৬০ লাখ মানুষ 'খাদ্য অনিরাপত্তার' মধ্যে আছে৷ যারা জানেন না, বেশীরভাগ সিরিয়ান জানেন না পরবর্তী বেলার খাবার কোথা থেকে আসবে৷ ২০১৮ সালে ৩০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম কৃষি উৎপাদন হয়েছিল সিরিয়ায়৷ তবে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে এ বছর বিপুল পরিমাণ কৃষি উৎপাদন হতে চলেছে দেশটিতে৷

সাহস২৪.কম/জয়

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত