ইসলাম বিদ্বেষী ভয়ংকর বৌদ্ধ সন্ত্রাসী আশিন উইরাথু

প্রকাশ | ০৭ জুন ২০১৯, ২০:০৮ | আপডেট: ০৭ জুন ২০১৯, ২০:২৬

মুসলিমদের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু আশিন উইরাথু বলেন, মসজিদ হচ্ছে ‘শত্রুর ঘাঁটি’, আর মুসলিমরা হচ্ছে ‘পাগলা কুকুর’, ‘মুসলিমরা চুরি করে ও বর্মী মহিলাদের ধর্ষণ করে’ এবং ‘গণহারে সন্তান জন্ম দিয়ে তারা খুব দ্রুত নিজেদের বিস্তার ঘটাচ্ছে’।

কে এই আশিন উইরাথু?
১৯৬৮ সালে বার্মায় জন্মগ্রহণ করেন উইরাথু। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু। মিয়ানমারে কর্তৃপক্ষ বছরের পর বছর ধরে তাকে রক্ষা করার পাশাপাশি তাকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে। আর একারণেই মুসলিমদের বিষয়ে দিনের পর দিন এরকম বিদ্রূপাত্মক ও নিন্দাজনক বক্তব্য দিতে সক্ষম হচ্ছেন ৫১ বছর বয়সী এই বৌদ্ধ ভিক্ষু।

যে ভাবে উত্থান:
ভিক্ষু আশিন উইরাথু প্রথম আলোচনায় আসেন ২০০১ সালে যখন তিনি মুসলিমদের মালিকানাধীন ব্যবসা ও দোকানপাট বয়কট করার জন্যে প্রচারণা শুরু করেন। এরকম একটি প্রচারণা শুরু করার পর ২০০৩ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে তার ২৫ বছরের সাজা হয়েছিল। কিন্তু তাকে পুরো সাজা খাটতে হয়নি। সাত বছর পর সরকারের ঘোষিত সাধারণ ক্ষমায় তিনি ২০১০ সালে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।

কিন্তু উইরাথুর জেল থেকে বেড়িয়ে আবারও মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে তিনি তার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য অব্যাহত রাখেন।

আশিন উইরাথু তার বক্তব্য বিবৃতিতে বৌদ্ধদের শৌর্য বীর্যের কাহিনী তুলে ধরেন, তার সঙ্গে জাতীয়তাবাদের চেতনাও মিশিয়ে দেন।

তার কথার প্রতিটি বাক্যে ছড়িয়ে থাকে মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা। মিয়ানমারের বিদ্যমান মুসলিম-বিদ্বেষে তার এসব বক্তব্য আরো উস্কানি জোগাতে সাহায্য করে।

মুসলিম পুরুষরা যাতে বৌদ্ধ নারীদের বিয়ে করতে না পারে সেজন্যে একটি আইন তৈরিতেও অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন উইরাথু। ওই আইনে মুসলিম পুরুষের সঙ্গে বৌদ্ধ নারীর বিয়ে অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি বিভিন্ন সভায় বলেন, ‘কোন সাপ ছোট হলেও সেটাকে খাটো করে দেখার কিছু নেই। মুসলিমরা ওই সাপের মতো।’

তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ভুগছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা:
উল্কার মতো তার এই জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির কারণে ভুগতে হয়েছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিম জনগোষ্ঠীকে। তাদের সংখ্যা মিয়ানমারের মোট জনসংখ্যার পাঁচ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত আন্তর্জাতিক সাময়িকী টাইম ম্যাগাজিনেও উইরাথুকে চিত্রিত করা হয় একজন সন্ত্রাসী হিসেবে।

২০১৩ সালের জুলাই মাসে ম্যাগাজিনটির একটি সংখ্যার প্রচ্ছদে তার একটি ছবি ছাপিয়ে তাতে লেখা হয়- ‘এক বৌদ্ধ সন্ত্রাসীর মুখ।’

আশিন উইরাথুর উপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করা হয় ২০১৫ সালে। ওই ডকুমেন্টারিতে তাকে বর্ণনা করা হয় একজন “বৌদ্ধ বিন লাদেন” হিসেবে।

কিছু কিছু পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমও খুব দ্রুতই তার এই নামটি লুফে নেয়। তবে উইরাথু বলেন, এরকম তুলনা তার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।

আশ্বিন উইরাথু বলেন যে তিনি সহিংসতাকে ঘৃণা করেন। ‘আমি খুব খারাপভাবেও এর জবাব দিতে চাই না’ বলেন তিনি।

মিয়ানমারের সংখ্যালঘু মুসলিমদের দুঃখ দুর্দশা অনুসন্ধান করে দেখতে জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংগি লী-কে ২০১৫ সালে যখন সেদেশে পাঠানো হয়েছিল উইরাথু তখন তাকে একজন ‘দুশ্চরিত্রা’ ও ‘বেশ্যা’ হিসেবে গাল দিয়েছিলেন।

রাখাইনের গণহত্যায় সামরিক বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় জেনারেলদের ভূমিকা কী ছিল সেটা খতিয়ে দেখতে গতবছরেই আহবান জানানো হয়েছিলে জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনে। আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত বা আইসিসির পক্ষ থেকে প্রাথমিক এক তদন্তের সূচনা হওয়ার পরই এই আহ্বান জানানো হয়েছিল।

মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে এবং বৌদ্ধ ভিক্ষু উইরাথু তখন পাল্টা আক্রমণ চালাতে শুরু করেন।

গত বছরের অক্টোবর মাসে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, “আইসিসি যেদিন এখানে আসবে, সেদিনই উইরাথু বন্দুক হাতে তুলে নেবে।”

কিন্তু তার এই ব্যাপক জনপ্রিয়তা মিয়ানমারের আশ্রমগুলোতে তখন আর ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। সরকার সমর্থিত সংঘ কাউন্সিল ২০১৭ সালে তার ধর্মীয় বক্তব্য রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ফেসবুকে নিষিদ্ধ:
মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়াতে এক পর্যায়ে আশিন উইরাথু সোশাল মিডিয়াও ব্যবহার করতে শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন যে মিয়ানমারে মুসলিম জনসংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে থাকার কারণে বৌদ্ধ সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়েছে।

এরই এক পর্যায়ে ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ তাকে নিষিদ্ধ করে। ফেসবুকের পক্ষ থেকে বলা হয় যে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করেই তার এসব বিদ্বেষমূলক পোস্ট।

উইরাথু তখন বিকল্প হিসেবে অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহারের কথা ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, "ফেসবুক যখন আমার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়, আমি তখন ইউটিউবের উপর নির্ভর করি। আবার ইউটিউব যেহেতু খুব বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে না, সেহেতু আমার জাতীয়তাবাদী কাজ অব্যাহত রাখার জন্যে আমি টুইটার ব্যবহার করবো।"

রুশ সোশাল মিডিয়া এবং নেটওয়ার্কিং সাইট ভিকের মাধ্যমেও তিনি তার অনেক ভিডিও শেয়ার করে থাকেন।

কিন্তু শুধু যে ফেসবুকই তাকে নিষিদ্ধ করেছে তা নয়, এবছরের এপ্রিলে প্রতিবেশী ও বৌদ্ধ অধ্যুষিত দেশ থাইল্যান্ডে তার ধর্মীয় বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাই কর্তৃপক্ষ তাতে বাধ দিয়েছে।

৯৬৯ গ্রুপ এবং মা বা থা সংগঠন:
মুসলিমবিরোধী ও জাতীয়তাবাদী একটি দল গঠনের সাথেও জড়িত ছিলেন আশিন উইরাথু। গ্রুপটির নাম ছিল ৯৬৯।

এই দলের সমর্থকরা বলছেন, নামের প্রথম ৯ হচ্ছে বুদ্ধের নয়টি বিশেষ গুণ, ৬ হচ্ছে বৌদ্ধ ধর্মের ছ'টি বিশেষ অনুশিক্ষা এবং শেষ ৯ হচ্ছে সংঘের নয়টি বিশেষ গুণ। কিন্তু বাস্তবে এই ৯৬৯ গ্রুপটি মুসলমানদের বিরুদ্ধেই প্রচারণা চালাতে থাকে।

পরে দলটি রাষ্ট্রীয়ভাবেও সমর্থন পেতে শুরু করে এবং ২০১৩ সালে মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিন সেইন প্রকাশ্যে এই গ্রুপটির আন্দোলন এবং ওই আন্দোলনের সবচেয়ে প্রখ্যাত নেতা উইরাথুকে সমর্থন দেন। উইরাথুকে তিনি উল্লেখ করেন "বুদ্ধের সন্তান" হিসেবে। এর কিছুদিন পরেই উইরাথু মা বা থা নামের আরো একটি সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিতে পরিণত হন।

দলটির এই নামের অর্থ বার্মার দেশপ্রেমিক সমিতি। এই সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় ২০১৪ সালে। তারপর হু হু করে এর জনপ্রিয়তা বাড়তে শুরু করে। এক সময় সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে সংগঠনটি এবং এক পর্যায়ে ২০১৭ সালে এটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু মান্দালায় মা সোয়ে ইয়েন আশ্রম থেকে উইরাথু কোন ধরনের বাধা ছাড়াই প্রচারণা অব্যাহত রাখেন।

তার অফিসে তিনি এমন কিছু ছবি স্থায়ীভাবে প্রদর্শন করতে থাকেন যেগুলোতে, তার ভাষায়, মুসলিমদের সহিংসতার কিছু চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।

গেরুয়া পোশাক পরিহিত উইরাথু বিবিসিকে ২০১৩ সালে যে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন, তাতে তিনি কখনো মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতার ব্যাপারে অনুশোচনা প্রকাশ করেন নি।

বরং তিনি বলেন, ‘মুসলিমরা যখন দুর্বল থাকে শুধু তখনই তারা ভালো আচরণ করে। কিন্তু যখন তারা শক্তিশালী হয়ে উঠে তখন তারা নেকড়ে কিম্বা শৃগাল হয়ে যায়, তার পর তারা দল বেঁধে অন্যান্য প্রাণীদের উপর আক্রমণ করে।’

বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘মুসলিমরা নিজেদের ছাড়া আর কাউকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। তারা খ্রিস্টান ও হিন্দুদেরকেও আক্রমণ করে। আসলে তারা সবাইকে আক্রমণ করে। আপনি যদি এটা বিশ্বাস না করেন তাহলে আপনার পরমাণু প্রযুক্তি তালেবানকে দিয়ে দেখুন কী হয়, আপনার দেশ খুব শ্রীঘ্রই হারিয়ে যাবে।’

উইরাথুর বিদেশে ভ্রমণ:
উইরাথু প্রায়শই বিদেশে ভ্রমণ করেন এবং শ্রীলঙ্কায় বদু বালা সেনা বা বিএসএস নামের একটি গ্রুপের সাথে রয়েছে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।

মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংস প্রচারণা চালিয়ে এই গ্রুপটিও কুখ্যাতি অর্জন করেছে।

২০১৪ সালে কলম্বোর এক সমাবেশে উইরাথু বলেছিলেন, ‘আজ বৌদ্ধ ধর্ম বিপদে পড়েছে। আমরা যদি এই বিপদ সঙ্কেত শুনতে পাই তাহলে আমাদের সবাইকে একসাথে হাত ধরতে হবে।’

কিন্তু তার এই ব্যাপক জনপ্রিয়তা মিয়ানমারের আশ্রমগুলোতে তখন আর ভালোভাবে গৃহীত হয়নি। সরকার সমর্থিত সংঘ কাউন্সিল ২০১৭ সালে তার ধর্মীয় বক্তব্য রাখার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

কিন্তু তিনি আসল বিপদে পড়তে শুরু করেন যখন তিনি মিয়ানমারের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিকে আক্রমণ করেন, তার পর থেকেই।

রোহিঙ্গা সঙ্কট:
রাখাইন রাজ্যে ২০১২ সালে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতা শুরু হওয়ার জন্যে আশ্বিন উইরাথুর সমর্থকদের ব্যাপকভাবে দায়ী করা হয়।

এর পরই সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এবিষয়ে ২০১৭ সালে ব্রিটিশ সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে উইরাথু বলেছিলেন, "অং সান সু চি বাঙালিদের সাহায্য করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমি তাকে বাধা দিয়েছি।"

বর্মী জাতীয়তাবাদীরা রোহিঙ্গা মুসলিমদেরকে প্রায়শই বাঙালি বলে উল্লেখ করে থাকে। রোহিঙ্গাদেরকে বহিরাগত বোঝাতেই তাদেরকে বাঙালি বলা হয়।

ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির বিরুদ্ধে উইরাথু অভিযোগ আনেন যে ওই দলটি গোপনে মুসলিম এজেন্ডাকে সমর্থন দিচ্ছে।

সু চি-কে আক্রমণ:
এপ্রিল মাসের এক সমাবেশে মিয়ানমারের ডিফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চির দিকে ইঙ্গিত করে উইরাথু বলেন, ‘তিনি ফ্যাশনেবল কাপড় পরেন, মেকাপ দেন, হাই হিল জুতা পরেন এবং বিদেশিদের দিকে নিজের নিতম্ব নাড়িয়ে হেঁটে যান।’

এছাড়াও মে মাসে দেওয়া এক ভাষণে সরকারের এক সদস্যের বিষয়ে তিনি বলেন যে ‘ওই ব্যক্তি একজন বিদেশীর সাথে ঘুমাচ্ছেন।’

ব্রিটিশ একজন শিক্ষাবিদ মাইকেল এরিসের সাথে অং সান সু চি-র বিয়ে হয়েছিল। মিস সু চি যখন সামরিক বাহিনীর হাতে গৃহবন্দী তখন তার স্বামী ১৯৯৯ সালে ক্যান্সারে মারা যান।

মিয়াত থু, ইয়াঙ্গুন স্কুল অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘উইরাথু খুবই জনপ্রিয় একজন ভিক্ষু। তার অনুসারীর সংখ্যাও প্রচুর। তিনি যখন মুসলিমদের আক্রমণ করেন তখন তার অনুসারীরা খুশি হয়। কিন্তু এই উইরাথুই যখন অং সান সু চি-কে আক্রমণ করেন তখন তার জনপ্রিয়তাও ধাক্কা খায়।’

ব্রিটেনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অং সান সু চি মিয়ানমারে "দ্যা লেডি" হিসেবে পরিচিত। কার্যত তাকে দেশটির প্রধান বলেই মনে করা হয়।

তার আনুষ্ঠানিক পদের নাম স্টেট কাউন্সিলর। প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট তার ঘনিষ্ঠ মিত্র।

মিয়ানমারের সংবিধানের কারণে অং সান সু চি কখনো দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না কারণ তার সন্তানরা বিদেশি নাগরিক।

বেসামরিক সরকার মিস সু চির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে এই বাধা সরিয়ে দিতে চায় কিন্তু ভিক্ষু আশিন উইরাথু সংবিধানের এই পরিবর্তনের বিরোধী।

মিয়াত থু বলেন, ‘লোকজনের কাছে অং সান সু চির জনপ্রিয়তা প্রচুর। এমনকি অনেক কট্টরপন্থী ভিক্ষু, যারা উইরাথুর সাথে আছেন, তারাও এখন তার এই সু চি-বিরোধী অবস্থান মেনে নিতে পারবেন না।’

তিনি বলেন, ‘উইরাথু যদি শুধু সংবিধানের পরিবর্তনের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাহলে সরকারের পক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন হতো। কিন্তু তিনি তো অং সান সু চিকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করেছেন যা মানুষ ভালভাবে নেয় নি।’

মিয়াত থু আরও বলেন, ‘এখন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়ে গেছে। কিন্তু তারপরেও আশিন উইরাথু দমবার পাত্র নন।’

উইরাথু বলেন, ‘তারা যদি আমাকে গ্রেপ্তার করতে চায়, তারা সেটা করতে পারে।’