যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আভাস দিয়েছেন রুহানি

প্রকাশ : ২৯ মে ২০১৯, ১৭:০১

সাহস ডেস্ক

ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং পরমাণু চুক্তির অধীন প্রতিশ্রুতিগুলো মেনে চলে, তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা সম্ভব।’

২৯ মে (বুধবার) যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার আভাস দিয়ে এ কথা বলেন ইরানি প্রেসিডেন্ট।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত প্রেস টিভি বলেছে, রুহানি বলেন- যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় এবং প্রতিশ্রুতি পূর্ণ করে, তবে আলোচনার দুয়ার বন্ধ না।

এদিকে ইরান থেকে তেল ক্রয় বন্ধ করে দিয়েছে চীন। তেহরানের তেল কেনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি দেশকে দেয়া ছাড় বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পর বেইজিং এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

ইরানি তেল কারখানার সূত্রের বরাতে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।

তেহরানের পার্লামেন্টের অর্থনৈতিক কমিশনের সদস্য রাহিম জারের বরাতে খবরে বলা হয়েছে, চীন, গ্রিস, ভারত, ইতালি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান ও তুরস্ককে ইরানি তেল কেনায় আগে ছাড় দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। মার্চে তারা দৈনিক ১৬ লাখ ব্যারেল তেল কিনতো। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড়ের সময় আর না বাড়ানোয় তারা তেহরানের তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।

রাহিম জারে বলেন, ‘তারা সত্যিকার অর্থে নিষেধাজ্ঞাকে মেনে চলছে।’

খবরে আরও বলা হয়, মে মাসের মাঝামাঝিতে ইরানের ক্রাগ দ্বীপের তেল টার্মিনাল থেকে যখন একটি চীনা ট্যাংকার বোঝাই করা হচ্ছিল, তখন সেটাকে চীন ফের অপরিশোধিত তেল ক্রয় শুরু করে দিয়েছে বলে ধরে নেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ওই জাহাজটি ইন্দোনেশিয়ার দিকে চলে যায়। বর্তমানে সেটি ওমান উপসাগরের ইরানি উপকূলে রয়েছে।

ইরানি তেল কারখানা সূত্র জানায়, কূলে থাকাকালীন জাহাজটিতে তেল ভরা ছিল। কেবল তেল মজুদের জন্যই এটি ব্যবহার করা হয়েছে।

ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের খবর বলছে, চীনা কোম্পানি এখন আর ইরানি তেল কিনছে না। তবে ফের চীনের কাছে তেল বিক্রি করতে পারবে বলে আশায় আছে ইরান।

মাস দুয়েক আগে চীনে তেল সরবরাহ করা এক ইরানি ব্যবসায়ী বলেন, চীনের ছোট একটি পরিশোধনাগারের কাছে ২০ লাখ ব্যারেল তেল বিক্রি করতে আলোচনা করছেন তিনি। কিন্তু দুই দেশের সরকারের কাছ থেকে তিনি এখনো অনুমোদন পাননি।

সূত্র: রয়টার্স

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত