ভারত পৌঁছেছেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশ | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১২:৩৮

অনলাইন ডেস্ক

দুই দিনের পাকিস্তান সফর শেষে ভারতে পৌঁছেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাকে স্বভাবসুলভ আলিঙ্গনে টেনে নেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কাশ্মিরের পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যে দেশ দুটিতে সৌদি আরবের যুবরাজের পূর্বনির্ধারিত এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

সৌদি যুবরাজের সফর ঘিরে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মোদির সঙ্গে যুবরাজের বৈঠকে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনা হবে। আলোচনায় থাকবে সন্ত্রাসবাদ দমন ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহারও। বুধবার সৌদি যুবরাজ ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

পাকিস্তান সফর শেষে সৌদি আরব হয়ে ভারতে আসেন যুবরাজ। এদিন বিমানবন্দরে শঙ্খধ্বনিতে স্বাগত জানানো হয় সৌদি যুবরাজকে। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছান নরেন্দ্র মোদি।

দুইদিনের ভারত সফরে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, উপররাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুবরাজ মোহাম্মদ। পুলওয়ামা ঘটনার আবহে ইসলামাবাদে গিয়ে ইমরান খানের সরকারের যেভাবে ভূয়শী প্রশংসা করেন সৌদি যুবরাজ, এদিন নয়াদিল্লি পৌঁছানোর পর তিনি কী বার্তা দেবেন, সেদিকে নজর রাখছে কূটনৈতিক মহল।

তবে ভারতের এই বহুকালের মিত্র দেশের সঙ্গে কেন্দ্রের বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা এবং সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইমরানের উষ্ণ অভ্যর্থনায় মুগ্ধ সৌদির যুবরাজ দুই হাজার মার্কিন ডলারের উপঢৌকন দেয় পাকিস্তানকে। সন্ত্রাস দমন ইস্যুতে পাকিস্তানের সক্রিয়তার ভূয়শী প্রশংসা করেন তিনি।
সাংবাদিক বৈঠকে যুবরাজ মোহাম্মদ বলেছিলেন, দুই দেশেই সন্ত্রাসবাদ সমস্যায় জর্জরিত। শান্তিপূর্ণভাবে মতানৈক্য দূরে সরিয়ে মোকাবিলা করতে হবে।

উল্লেখ্য, সৌদির ‘স্ট্র্যাটিজি পার্টনারের’ তালিকায় আট নম্বর স্থানে রয়েছে ভারত। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দুই দেশের বাণিজ্য হয় দুই হাজর ৭৪৮ কোটি ডলার, যা মোদি সরকারের আমলে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সৌদি আরবে কর্মসূত্রে প্রায় ২৭ লাখ ভারতীয় বসবাস করেন।

প্রতি বছর দেড় লাখের বেশি ভারতীয় হজযাত্রায় যান। সৌদির সঙ্গে ভারতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করতে ২০১৬ সালে ইতিবাচক বার্তা দিয়ে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।