শেখ হাসিনাকে পাশে চায় যুক্তরাষ্ট্র

প্রকাশ : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৩:৫৯

সাহস ডেস্ক

সাম্প্রতিক নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়লেও বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবেই চলছে। এতে দুই দেশের সাধারণ স্বার্থ প্রাধান্য পাচ্ছে। নিজেদের স্বার্থের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একজন উপকারী সহযোগী হিসেবেই মনে করে ওয়াশিংটন।

যুক্তরাষ্ট্রের থিংক ট্যাংক উড্রো উলসন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক জ্যেষ্ঠ বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান বাংলাদেশের নির্বাচন, নির্বাচন পরবর্তী ওয়াশিংটন-ঢাকার সম্পর্ক ও স্বার্থ নিয়ে কথা বলেছেন ফরাসী বার্তাসংস্থা এএফপির সঙ্গে।

মাইকেল কুগেলম্যান বলছেন, ‘আমার কাছে মনে হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র শেখ হাসিনাকে একজন উপকারী অংশীদার হিসেবে দেখছে। সন্ত্রাসের ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত কঠোর। তার নেতৃত্বে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটেছে।’

‘বাংলাদেশ কার্যকরভাবে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী রাষ্ট্র হয়ে উঠছে। তবে দেশটির পরিস্থিতি মূলত ওয়াশিংটনের সঙ্গে খাপ খায়। তারপরও আমি মনে করি, বাংলাদেশে ব্যাপক রাজনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সত্ত্বেও শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের স্থিতিশীলতার একজন সমর্থক ও চর্চাকারী হিসেবে ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র।’

নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগকে গুরুতরভাবে নেয়নি বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বিবৃতি ছিল হতাশাজনক। এই বিবৃতির জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশের বিরোধী দলীয় সমর্থকদের দায়ী করেছেন তিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখা যাচ্ছে। মার্কিন বান্ধব ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল তৈরির যে লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে এটিও তার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কায় চীনের ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করছেন চীন। তবে উচ্চ অবকাঠামো নির্মাণে চীনের সঙ্গে বড় ধরনের কোনো চুক্তি করেনি বাংলাদেশ।

তবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশি স্পর্শকাতর ফ্যাক্টর হচ্ছে প্রতিবেশি, আঞ্চলিক শক্তি ও ওয়াশিংটনের অন্যতম মিত্র ভারত। এই দেশটি শেখ হাসিনাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ফলে বাংলাদেশের সমালোচনা করার ক্ষেত্রেও ওয়াশিংটনের সুযোগ সীমিত। তবে বিরোধীরা আশাবাদী যে, যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার মুখেও পড়তে পারে বাংলাদেশ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত