ইরানকে নজরদারিতে রাখতে ইরাকে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি প্রয়োজন

প্রকাশ : ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৭:২৭

সাহস ডেস্ক

পার্শ্ববর্তী দেশ ইরানকে নজরদারিতে রাখতে ইরাকের মার্কিন সামরিক ঘাঁটি অবশ্যই থাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

৩ ফেব্রুয়ারি (রবিবার) স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের একটি সাক্ষাৎকারে ইরাকে সামরিক অভিযান নিয়ে এমন মত প্রকাশ করেন তিনি।

ট্রাম্প ইরানকে ‘বড় সমস্য’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির কার্যকলাপের নজরদারি করতে পাশের দেশ ইরাকে মার্কিন সেনারা ভূমিকা রাখবেন। আমরা ঘাঁটিটি রাখতে চাই।

এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে পশ্চিম ইরাকের আল আসাদ বিমানঘাঁটি পরিদর্শনকালে ট্রাম্প বলেছিলেন, এই ঘাঁটিটির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ ব্যয় করছি। আমরা এটি রেখেও দিতে পারি। এছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিপর্যয়ের সময় আমরা পাশে থেকেছি। আর এসব বিপর্যয়ের মূলে রয়েছে ‘বিশ্বের সেরা সন্ত্রাস জাতি’ ইরান।

এসময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা করবে কি-না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেসিডেন্ট বলেন, না। আমরা শুধু নজরদারিতে রাখতে চাই। তখন মধ্যপ্রাচ্যের অগ্রগতিতে মার্কিন সামরিক ঘাঁটির অবদানের কথা উল্লেখ করেন তিনি।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, যুক্তরাষ্ট্র কয়েক সপ্তাহ ধরে সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের ইরাকের ঘাঁটিতে আনার ব্যাপারে দেশটির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে তারা উগ্র গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রমও প্রতিহত করতে পারে।

মার্কিন দুই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সিরিয়ার মার্কিন সেনাদের ইরাকের ঘাঁটিতে মোতায়েন করা যাবে কি-না, তা পর্যবেক্ষণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দুই সিনিয়র কর্মকর্তা দেশটির এর্বিল ও আল আসাদ বিমানঘাঁটিসহ বিভিন্ন ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন।

ওই সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানে চলমান তালেবান সন্ত্রাসবাদেরও সমালোচনা করেছেন।

তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান কর্মকর্তাদের মধ্যকার শান্তি আলোচনার অগ্রগতি হয়েছে।

ট্রাম্প বলেন, তাদের প্রতিহত করতে আমরা ১৯ বছর ধরে লেগে থেকেছি। আমরা দেখবো তালেবানদের সঙ্গে কী হয়। তারা এখন শান্তি চায়। এখন তারাও ক্লান্ত। এছাড়া সবাই ক্লান্ত।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত