মিয়ানমারে বন্দি রয়টার্স সাংবাদিকদের মুক্তি চাইলেন মাইক পেন্স

প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০১৯, ১৫:০৯

সাহস ডেস্ক

রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের খবর সংগ্রহের কারণে মিয়ানমারে কারাবন্দি রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের আপিল বার্মিজ আদালত খারিজ করে দেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। টুইটারে দেওয়া পোস্টে তিনি বলেন, আদালত গণতন্ত্রের একটি মৌলিক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে।

শুক্রবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় টুইটারে দেওয়া পোস্টে মাইক পেন্স বলেন, বার্মার আদালত আজ দুই সাংবাদিকের সাজা বহাল রেখেছে যা খুবই বিরক্তিকর। গণতন্ত্রের মৌলিক পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে আদালত।

তিনি বলেন, মুক্ত ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যমের জন্য বার্মার উচিত এই সাংবাদিকদের অবিলম্বে মুক্তি দেওয়া। পুরো দুনিয়া এই ঘটনা দেখছে।

এর আগে শুক্রবা রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড পাওয়া রয়টার্সের দুই সাংবাদিকের আপিল খারিজ করে দেয় মিয়ানমারের আদালত। তাদের বিরুদ্ধে কথিত রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তার আইন ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত বলেছে, অভিযুক্তরা নিজেদের নির্দোষ প্রমাণে পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থানে ব্যর্থ হয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো বলেন, আজকের রায় শুধু মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে নয় বরং আইনের শাসনের প্রতি বার্মার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

রাখাইনে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে অনুসন্ধানের সময় ৩২ বছর বয়সী ওয়া লোন ও ২৮ বছরের কিয়াও সোয়ে ও নামের রয়টার্সের দুই সাংবাদিককে আটক করে মিয়ানমার। তাদের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইনে অভিযোগ আনা হয়। পরে ওই দুই সাংবাদিককে দোষী সাব্যস্ত করে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয় একটি বার্মিজ আদালত।

আটক হওয়ার সময়ে ওই দুই সাংবাদিক রাখাইনের ইন দীন গ্রামে ১০ রোহিঙ্গা হত্যার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। সেনা অভিযানের মধ্যে এই রোহিঙ্গা নাগরিকদের স্থানীয় অধিবাসী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মিলে হত্যা করে মাটি চাপা দেয়। রয়টার্স ওই ঘটনার খবর প্রকাশের পর মিয়ানমার প্রথমবারের মতো রোহিঙ্গা হত্যার দায়ে অনেকটা বাধ্য হয়ে কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মীকে কারাদণ্ড দেয়।

জাতিসংঘ গণহত্যার কথা বললেও যুক্তরাষ্ট্র এখনও রোহিঙ্গা নিধনযজ্ঞকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেনি। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন শাখা গণহত্যা শব্দ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত