কঠোর নিরাপত্তায় আফগানিস্তানে জাতীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে

প্রকাশ | ২০ অক্টোবর ২০১৮, ১৬:৩৬

অনলাইন ডেস্ক

তালেবান হামলার হুমকি ও আঁটসাঁট নিরাপত্তার মধ্যেই আফগানিস্তানে সংসদীয় নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। শনিবার (২০ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বলে জানায় সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা। ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত।

এবারের নির্বাচনে ভোট দিতে প্রায় ৯০ লাখ আফগান ভোটার নিবন্ধিত হয়েছেন। দেশটির ৩৩টি প্রদেশে প্রায় ৫ হাজার ভোটকেন্দ্র চলবে ভোটগ্রহণ। ২৫০টি সংসদীয় আসনের জন্য ২৫০০-এর বেশি প্রার্থী লড়াই করছেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ৪২১ জন নারী প্রার্থীও রয়েছেন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, তালেবান হামলা চালালে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভোটারের আগমন কমে যেতে পারে। নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে দেশটিতে সেপ্টেম্বর থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন প্রার্থী খুন হয়েছেন।

যদিও আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার নিরাপত্তারক্ষী সদস্য ভোটারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করবে। কাবুলে সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে চেকপোস্ট বসিয়ে গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে।

নির্বাচন চলাকালে অব্যবস্থাপনার জন্য আফগান নির্বাচন কমিশন নিয়ে ভোটারদের অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। অনেক কেন্দ্রেই সঠিক সময়ে ব্যালট পেপার পৌঁছায়নি বলে জানা যায়। তবে সন্তুষ্টিও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

ভোট দেওয়া শেষে ষাট বছর বয়স্ক আলি শাহ আল-জাজিরাকে বলেন, আমি ৩০ মিনিট অপেক্ষা করার পর সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছি। নির্বাচন পদ্ধতি নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। তবে যা ঘটবে আমরা সবাই তা দেখবো।

এদিকে কান্দাহার প্রদেশে পুলিশ প্রধান হত্যার ঘটনায় প্রদেশটির নির্বাচন এক সপ্তাহ পেছানো হয়েছে। তালেবান এ হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেছে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠানের জন্য যারা যারা চেষ্টা করবে তারা সবাই লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বিবেচিত হবে।

নির্বাচন কমিশন ভোটের ফলাফল ঘোষণার তারিখ ঘোষণা না করলেও আশা করা হচ্ছে এক মাসের মধ্যেই প্রাথমিক ফলাফল জানা যাবে।

আফগানিস্তানের বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০১৫ সালে শেষ হওয়া কথা থাকলেও ২০১৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে সেসময় ভোট নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালের এপ্রিলে অনুষ্ঠিতব্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সংসদ নির্বাচনকে বেশ গুরুত্ব দিয়েই দেখা হচ্ছে।