হিরোশিমা দিবস আগামীকাল

প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৭:৪০

সাহস ডেস্ক

হিরোশিমা দিবসের ৭৩তম বার্ষিকী আগামীকাল সোমবার। ১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম পারমাণবিক বোমা হামলা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্তিমলগ্নে ৬ আগস্ট মার্কিন বাহিনী জাপানের হিরোশিমায় এবং ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়ে বিপুল সংখ্যক নিরীহ, ঘুমন্ত অসহায় শিশু-নারী-পুরুষ, বেসামরিক মানুষ হত্যা করে।

এই ভয়াবহ বোমা হামলার সাত দশক পার হয়ে গেলেও ভয়াল সেই দিনের কথা এখনো ভোলেনি জাপানসহ সারা বিশ্বের মানুষ। দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শান্তিপ্রিয় মানুষ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বাংলাদেশেও বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।

হিরোশিমার সেই ভয়াবহ ঘটনা স্মরণের জন্য আগামীকাল সোমবার নাটক প্রদর্শনী ও অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে নাটকের সংগঠন স্বপ্নদল।
অনুষ্ঠানের এবারের স্লোগান- ‘আর নয় হিরোশিমা, আর নয় নাগাসাকি, আর নয় যুদ্ধ।’ এ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে থাকবে ত্রিংশ শতাব্দী নাটকের বিশেষ মঞ্চায়ন এবং হিরোশিমা দিবস-২০১৮ শীর্ষক বিশেষ অনুষ্ঠান।

বাদল সরকারের মূল রচনা অবলম্বনে হিরোশিমা-নাগাসাকির বিয়োগান্ত ঘটনা নির্ভর নাটকটির রুপান্তরসহ নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদ রিপন। এবারের হিরোশিমা দিবসের অনুষ্ঠানমালা সাম্প্রতিক বাস দুর্ঘটনায় নিহত-আহত এবং নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের প্রতি উৎসর্গ করা হয়েছে।

১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমা শহরে স্থানীয় সময় তখন সকাল ৮টা ১০ মিনিট। আগেই নির্দেশনা দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যান। মার্কিন বি-টুয়েন্টি নাইন বোমারু বিমান এনোলা গে থেকে হিরোশিমায় ফেলা হয় আণবিক বোমা ‘লিটল বয়’। বোমাটি প্রায় ৫০০ মিটার উঁচুতে বিস্ফোরিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন এই বোমা হামলায় প্রাণ যায় প্রায় ৪০ হাজার মানুষের। এই হামলার মধ্য দিয়ে মোড় ঘুরতে শুরু করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের।

৬ আগস্টের পর ৯ আগস্ট জাপানের নাগাসাকিতে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান আরেকটি পারমাণবিক বোমা নিক্ষেপ করে, যাতে নিহত হয় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। মূলত এই হামলার মধ্য দিয়ে সমাপ্তি হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের। তবে জাপানের আসাহি শিমবুনের এক হিসাবে বলা হয়েছে, বোমার প্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগসমূহের কারণে দুই শহরে চার লাখের মতো মানুষ মারা যান। এদের অধিকাংশই ছিলেন বেসামরিক নিরীহ নাগরিক। আণবিক বোমা হামলার এতো বছর পরও শহর দুটোতে জন্ম নিচ্ছে বিকলাঙ্গ শিশু। ক্যান্সারসহ দুরারোগ্য রোগে ভুগছে বহু মানুষ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত