শ্রীলঙ্কায় জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

প্রকাশ | ১৮ মার্চ ২০১৮, ১৪:১৪

অনলাইন ডেস্ক

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে শ্রীলঙ্কাজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে বৌদ্ধ-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

সিরিসেনা তার টুইট বার্তায় লিখেন, জন নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনার পর আমি গতকাল(শনিবার) মধ্যরাত থেকে জরুরি অবস্থা  তুলে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দ্বীপ দেশটির ক্যান্ডি শহরে বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘাতের পর দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়।

শ্রীলঙ্কা সরকার জানিয়েছে, যে কারণ দেখিয়ে মুসলিমিবিরোধী দাঙ্গা ছড়িয়েছে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন। বাইরে থেকে সংঘাত উসকে দেওয়া  হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শ্রীলঙ্কা সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী শরৎ আমুনউগামা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, এর পেছনে  একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্র রয়েছে। তবে সরকার নিরপেক্ষভাবে আইনের শাসন বাস্তবায়ন করবে। তবে দাঙ্গার পেছনে সরকারের  নিস্ক্রিয়তাকে দায়ী করেছে শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলগুলো।

শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসে অভিযোগ করেছেন, এটা কোনও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র নয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নিষ্ক্রিয়তা ফুটে উঠেছে। সরকার তার দায়িত্ব থেকে দূরে সরে গেছে। কেউ এদিকে নজর দিচ্ছে না।

উল্লেখ্য, পর্যটন শহর ক্যান্ডিতে মুসলিমবিরোধী ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষিতে গত ৬ মার্চ দেশজুড়ে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি  করে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তবে জরুরি অবস্থার মধ্যেই উগ্রপন্থী বৌদ্ধদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে মুসলমানদের বিভিন্ন ব্যবসা  প্রতিষ্ঠান। বাদ যায়নি মসজিদও।

সহিংসতায় দুই ব্যক্তি নিহতের পর জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই সহিংসতায় কমপক্ষে ২০টি মসজিদ ভাঙচুর করা  হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় মুসলামানদের শতাধিক ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও যানবাহনে।

সাহস২৪.কম/রনি/আল মনসুর