আফগানিস্তানের ৭০ ভাগ এলাকা জুড়ে তালেবান

প্রকাশ : ৩১ জানুয়ারি ২০১৮, ১৭:১৫

সাহস ডেস্ক

আফগানিস্তানে তালেবানদের দমন করতে প্রায় দেড় দশক সময় ধরে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার খরচ করছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট। অথচ সেই তালেবানরাই বর্তমানে আফগানিস্তানের ৭০ শতাংশ এলাকায় প্রকাশ্যভাবে সক্রিয়।

৩০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি তাদের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

গবেষণা থেকে জানা যায়, আফগানিস্তানের শতকরা ৭০ ভাগ এলাকায় রয়েছে তালেবানের সক্রিয় অবস্থান। ইতোমধ্যে শতকরা ৪ ভাগ এলাকা সম্পূর্ণ তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যেখানে সরকারি বাহিনী বা সরকারের কোনো নির্দেশ চলে না। বাকি ৬৬ ভাগ এলাকায়ও তাদের প্রকাশ্য উপস্থিতি রয়েছে। আফগান সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে মাত্র ১২২টি জেলা, অর্থাৎ মাত্র ৩০ ভাগ এলাকা রয়েছে, যেখানে তালেবানের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এর মানে এই নয় যে, সেখানে তাদের উপস্থিতি নেই। ওই ৩০ ভাগ এলাকায়ও তালেবানের হামলার ঘটনা ঘটছে।

গবেষণাটিতে দেশটির ৩০টি জেলায় জঙ্গিগোষ্ঠী তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) উপস্থিতি আছে বলেও জানানো হয়। তবে কোনো এলাকাই এখনও তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে যায়নি।

বিবিসির ওই গবেষণা নিয়ে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির মুখপাত্র বক্তব্য দেন। দেশটির কিছু কিছু জায়গায় থাকলেও অধিকাংশ জায়গায় তালেবানের প্রভাব কমে গেছে বলে দাবি করেন তিনি। কিছু মানুষের একদিনের এক ঘণ্টার আলাপ থেকেই প্রভাবিত হয়ে বিবিসি এই গবেষণা করেছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

এদিকে ন্যাটোর করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত আফগানিস্তানের মাত্র ৪৪ ভাগ এলাকায় তালেবানের উপস্থিতি ছিল।

গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরেই উপর্যুপরি হামলা, সংঘর্ষের ঘটনায় ঘুরপাক খাচ্ছে আফগানিস্তান। এর মধ্যে শহরের কেন্দ্রে একটি অ্যাম্বুলেন্স বোমা হামলায় একশর বেশি এবং রাজধানী কাবুলের একটি হোটেলে হামলায় ২০ জন নিহত হন।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, কাবুল এবং অন্যান্য বড় শহরে বড় হামলাগুলো হচ্ছে। কিছু হামলা করা হয়েছে পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলো থেকে বা গুপ্তঘাতকদের মাধ্যমে।

আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান কার্যালয় পেন্টাগন সরাসরি বিবিসির এই গবেষণা নিয়ে কোনো মন্তব্য না করলেও আফগানিস্তানের ৫৬ ভাগ এলাকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে ন্যাটোর এমন প্রতিবেদনের কথাই উল্লেখ করেছেন।

বর্তমানে দেশটির অন্য সব সাধারণ মানুষের মতো শিশুরাও প্রতিনিয়ত সহিংসতার শিকার হচ্ছে। ভয়ে অনেককে স্কুলে যেতে দেন না অভিভাবকরা। শিশুদের জীবন কাটছে অনেকটা গৃহবন্দি হয়েই।

সাহস২৪.কম/জুয়েনা/আল মনসুর 

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত