সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের মা রুনু

প্রকাশ | ১০ জানুয়ারি ২০১৯, ১২:১৩ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৫

সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের মা রুনু! জন্ম দেয়ার পরই সন্তানকে শক্ত করে বুকের মধ্যে ধরে রেখেছে ভয়ে। তার আশেপাশে সদ্য জন্ম নেয়া সন্তানের বাবা, মামা, নানা, চাচা। কিন্তু রুনু বাচ্চাকে কারো কাছে দিচ্ছেনা। সবাই নিজেদের সম্পকের দোহাই দিচ্ছে রুনুকে। রুনু শুধু একটা কথা বারবার বলছে ‘ভয়’!

বর্তমান সময়ে স্যোস্যাল মিডিয়ার কল্যানে প্রতিদিন কোনো না কোনো ভাবে শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটার নিউজ পাওয়া যাচ্ছে। তাতে করে সদ্য জন্ম নেয়া বা সন্তান জন্ম দেবার প্রস্তুতি নেয়া উভয়ই আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বা পরবে এই গল্পের মত। দিন দিন মানুষিক বিকৃতির চরম বহিঃপ্রকাশ দেখা যাচ্ছে। যার কবল থেকে দশ মাসের শিশুও রেহাই পাচ্ছেনা।

এ কেমন যৌন বিকৃতি? আজকাল সমাজ ব্যবস্থাকে ঘায়েল করছে এই যৌন বিকৃতি। তা নিয়ে অন্যদের সাথে সাথে সমাজে বসবাস কারী একজন মানুষ ও মা হিসেবে আমি চিহ্নিত। যেহেতু আমি একজন কর্মজীবী মা। আমার মত অনেকেই হয়তো তার আদরের সন্তানকে রেখে কর্মে যেতে হয়। কিন্তু এমন চলমান অবস্থা চললে কর্মস্থলে মনোযোগের অভাব প্রতিটি মায়ের হবে বা হচ্ছে। এমন অবস্থা যদি বন্ধ না করা যায় তবে অদূর ভবিষ্যতে মায়েদের চাকরী করার প্রবণতা অনেক কমে যাবে। এতে করে খতির পরিমানটা পরিবার থেকে সমাজে সর্বপরি রাষ্টে পৌছাবে। কেননা চির কল্যানের সব কিছু নারী পুরুষের এক সাথে কাজ করার দ্বারাই সম্ভব।

সুতরাং এখনি যদি কঠোর ব্যবস্থা না নেয়া হয় তাহলে একদিকে যেমন শিশু ধর্ষণ বেড়ে যাবে অন্যদিকে কর্মজীবী মায়েদের চাকরী করার প্রবণতা কমে যাবে। কেননা রাষ্ট্র যখন একটি শিশুর নিরাপত্তা দিতে পারবেনা তখন জন্মদাত্রী হিসেবে সে দায়িত্ব মাকেই নিতে হবে।

এখন সরকারের দেখার বিষয়, কর্মজীবী মাকে সন্তানের নিরাপত্তা দিতে গিয়ে কর্ম ছাড়তে হবে না এমন কঠোর ব্যবস্থা বা সময়োপযোগী আইন তৈরি করা এবং আইনের সঠিক বাস্তবায়ন করে নারীর নিশ্চিত কর্মপরিবেশ তৈরি করা। দেখার অপেক্ষায় কর্মজীবি মা হিসেবে।