ইংলিশদের বাংলাওয়াশ

প্রকাশ : ১৪ মার্চ ২০২৩, ১৯:০২

সাহস ডেস্ক

কী দারুণ এক প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখলো সাকিব আল হাসানের দল! যে ম্যাচটি হেসেখেলেই বের করে নিয়ে আসছিলেন ডেভিড মালান আর জস বাটলার, সেই ম্যাচে পাশার দান একেবারে উল্টে দিলো বাংলাদেশ। শ্বাসরুদ্ধ এক লড়াইয়ে শেষ ওভারে ১৬ রানে ইংল্যান্ডকে হারালো বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ৩-০ ব্যবধানে বাংলাওয়াশ করেই ছাড়লো সাকিব বাহিনী।

তরুণ বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম বিপিএলে দারুণ খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটিই তানভীরের প্রথম ম্যাচ। ইংল্যান্ডের রান তাড়ায় তাকেই প্রথম ওভারটা করার দায়িত্ব দেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তানভীর অধিনায়কের আস্থার প্রতিদানটাও দিলেন প্রথম ওভারেই। ইনিংসের তৃতীয় বলে তিনি স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন ফিল সল্টকে (০)। ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

পরের ওভারেই আরেকটি উইকেট পড়তে পারতো ইংল্যান্ডের। তাসকিন আহমেদের বল ডেভিড মালানের প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। মালান রিভিউ নেন। রিপ্লেতে ঠিক বোঝা যাচ্ছিল না, বল তার ব্যাটে লেগেছে কিনা। তবে তৃতীয় আম্পায়ার নটআউট ঘোষণা করেন মালানকে। ৬ রানে বেঁচে যান ইংলিশ ওপেনার। সেই জীবনই কাজে লাগিয়েছেন মালান। করেছেন হাফসেঞ্চুরি।

প্রথম ওভারেই উইকেট পড়ায় যে চাপে পড়েছিল ইংলিশরা, ডেভিড মালান আর জস বাটলার বড় এক জুটি গড়ে সেই চাপ সামলে নেন। অবশেষে ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ভাঙেন ৭৬ বলে ৯৫ রানের ঝোড়ো জুটিটি। ৪৭ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৫৩ রান করে উইকেটরক্ষক লিটনের ক্যাচ হন মালান। পরের বলে মেহেদি হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোতে ৩১ বলে ৪০ রান যোগ করে আউট হন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড, ম্যাচে ফেরে বাংলাদেশ। এরপর ১৭তম ওভারে তাসকিন মঈন আলিকে (৯) বাউন্ডারিতে ক্যাচ বানান। ওই ওভারেই বেন ডাকেটকে (১১) বোল্ড করে খেলা বাংলাদেশের দিকে নিয়ে আসেন তিনি।

এর আগে সিরিজের শেষ ম্যাচে অর্থাৎ ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করার মিশনে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিলো ১৫৮ রান। ফলে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৫৯ রানে।টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। তবে দুরন্ত ছন্দে থাকা বাংলাদেশ সিরিজের শেষ ম্যাচেও করেছে উড়ন্ত সূচনা। লিটন দাস আর রনি তালুকদারের ব্যাটে চড়ে পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বিনা উইকেটেই ৪৬ রান তুলে টাইগাররা।

অবশ্য রনি তালুকদার পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু জোফরা আর্চারের বলে শর্ট থার্ড ম্যানে তার সহজ ক্যাচ ফেলে দেন রেহান আহমেদ। ১৭ রানে জীবন পান রনি। তবে সেই জীবন কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ২২ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ২৪ রান করে আউট হয়ে যান এই ওপেনার। আদিল রশিদ বল করে নিজেই নেন রনি তালুকদারের ক্যাচ।

দ্বিতীয় উইকেটে লিটন আর নাজমুল হোসেন শান্ত মিলে রীতিমত ঝড় বইয়ে দেন ইংলিশদের ওপর। ৫৭ বলে ৮৪ রানের জুটি গড়েন তারা। লিটন দাসের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খারাপ গেছে। খারাপ গেছে প্রথম দুই টি-টোয়েন্টিও। ইংলিশদের বিপক্ষে পাঁচবারের মধ্যে চারবারই লিটন আউট হয়েছেন দশের নিচে। একবার দশ পার করলেও ফেরেন ১২ রানে।

অবশেষে পাঁচবার হোঁচটের পর ফিফটির দেখা পেলেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে লিটনের নবম হাফসেঞ্চুরির ইনিংসটি থেমেছে ক্যারিয়ারসেরা করেই। ক্রিস জর্ডানের বলে পুল খেলতে গিয়ে ফিল সল্টকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন। ৫৭ বলে গড়া তার ৭৩ রানের ইনিংসটিতে ছিল ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কার মার।

সাহস২৪.কম/এমআই

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত