সিলেটে দেড় ঘণ্টায় টিকিট শেষ, দর্শকের ক্ষোভ

প্রকাশ : ২৭ জানুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৯

সাহস ডেস্ক

রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের মধ্যদিয়ে শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) শুরু হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্ব। সিলেটের ক্রিকেটপ্রেমীরা মাঠে বসে নিজ দলের খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকাটাই স্বাভাবিক।

খেলা শুরুর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় শুক্রবার ম্যাচের টিকিট বিক্রি। বিক্রি শুরু হওয়ার দেড় ঘণ্টার মধ্যেই ২০০ এবং ৩০০ টাকার টিকিট নেই বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখনও টিকিটের জন্য হাজারের ওপর দর্শক ছিলেন অপেক্ষমাণ। কাঙ্ক্ষিত টিকিট না পেয়ে হতাশ ক্রিকেটপ্রেমীরা বাড়ি ফিরে যান মলিন মুখে।

জানা গেছে, সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও জেলা স্টেডিয়ামের মূল গেটের বুথে বৃহস্পতিবার সকালে টিকিট বিক্রি করা হয়। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ম্যাচের দিন ও এর আগের দিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৮টা পর্যন্ত প্রতি বুথে টিকিট পাওয়া যাবে। কিন্তু প্রথম দিনই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট পাননি বেশিরভাগ দর্শক। টিকিট কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায় দুপুর ২টার দিকে।

এবারের বিপিএলে দারুণ ফর্মে আছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ অবস্থান নিয়ে মাশরাফি বিন মর্তুজার দলটি সিলেটে পা রেখেছে। বিপিএল নিয়ে এবার তাই একটু বেশি মাতামাতি সিলেটে। স্বভাবতই স্বাগতিক দলের ম্যাচের টিকিটের চাহিদা এবার অনেক বেশি।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় বিপিএলের সিলেট পর্বের টিকিট বিক্রি। টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড ১ হাজার ৫০০ টাকা, ক্লাব হাউস ৫০০ টাকা, ইস্টার্ন গ্যালারি ৩০০ টাকা, ওয়েস্টার্ন গ্যালারি ২০০ টাকা এবং সবুজ পাহাড়ি এলাকা (গ্রিন গ্যালারি) ২০০ টাকা।

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে দেখা যায়, বিপিএলের টিকিটের জন্য দর্শকদের দীর্ঘ লাইন। অনেকেই ভোর থেকে লাইন ধরেছেন। আনুমানিক দেড় ঘণ্টা টিকিট বিক্রির পর মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়- সর্বনিম্ন মূল্যের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। শুধু রয়েছে ক্লাব হাউজের ৫০০ টাকার এবং সবচেয়ে দামি ১ হাজার ৫০০ টাকার গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকিট।

বটেশ্বর এলাকার ইব্রাহিম মাফুজ রুবেল অভিযোগ করে বলেন, শুক্রবার প্রিয় দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের খেলা দেখার জন্য টিকিট কিনতে ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়েও পেলাম না। টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে কোনো নিয়ম মানা হচ্ছে না। বিক্রয়কারীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো টিকিট দিচ্ছেন। টিকিট বিক্রি শুরুর দেড় ঘণ্টার মধ্যে টিকিট বিক্রেতা দর্শকদের জানান, ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকার টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ওরা কালোবাজারে টিকিট বিক্রি করে দেওয়ায় বুথে টিকিট বিক্রি করছে তুলনামূলক কম। বিষয়টি বিসিবিকে খতিয়ে দেখার দাবি জানান তিনি।

সুমন মিয়া বলেন, টিকিট বিক্রির কোনো নিয়ম নাই। এখানে বিশৃঙ্খল অবস্থা। বিক্রয়কারীরা বলছেন, ২০০ টাকা ও ৩০০ টাকার টিকিট শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দেখতে পেলাম- তিনশ টাকার টিকিট ৫শ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

সুনামগঞ্জ থেকে আসা রনি জানান, সকাল ৮টা থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও ৩০০ টাকার টিকিট পাননি। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, হাতেগোনা কয়েকজন টিকিট পেয়েছেন। বাকি টিকিট গেলো কই?

কবির নামের আরেকজন জানান, শুক্রবারের রংপুর রাইডার্স ও সিলেট স্ট্রাইকার্সের ম্যাচের টিকিটের জন্য এসেছিলাম। না পেয়ে শনিবার চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও ফরচুন বরিশালের ম্যাচের টিকিট কিনেছি।

এ বিষয়ে বিসিবি’র মিডিয়া কর্মকর্তা ফরহাদ কোরেশী বলেন, সিলেটে ক্রিকেটপ্রেমী বেশি। তাই উন্মাদনাটাও বেশি। আর নিজের দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের খেলা মাঠে বসে দেখার জন্য সব দর্শকই টিকিট চাচ্ছেন। তাই আজকের নির্ধারিত টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে দ্রুত। খেলার দিন সকাল থেকেও টিকিট মাঠের সামনের বুথে পাওয়া যাবে।

অনিয়ম হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, টিকিট বিক্রির জন্য একটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছে বিসিবি। কেউ যদি টিকিট নিয়ে ছয়-নয় করে, তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সাহস২৪.কম/এএম.

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত