টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

বাংলাদেশ-ভারত: লিটন ঝড়, বৃষ্টির পর হারলো বাংলাদেশ

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২, ২০:৩৫

শেষ ৬ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন ২০ রান। ব্যাটে তাসকিন আহমেদ ও নুরুল হাসান। অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নুরুলকে ব্যাট দেন তাসকিন। পরের বলটি শর্ট লেংথে দেন অর্শদীপ, নুরুল মিডউইকেট দিয়ে মারেন ছক্কা। পরের বলটিতে সিঙ্গেল না নিয়ে চতুর্থ বলে ডাবলস নেন নুরুল। পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের ফুললেংথের বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন নুরুল। এবার শেষ বল, দরকার ৭ রান। একটি ছক্কা হলেই ম্যাচ টাই। হতো সুপার ওভার, তবে হয়নি। শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি নারুল হাসান। শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫ রানে হেরেছে সাকিব আল হাসানের দল। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুর পর ২০২২ সালে অ্যাডিলেডে ভারতের বিপক্ষে আরেকটি মন ভেঙে যাওয়ার গল্পই লেখা হলো বাংলাদেশের।

বুধবার (২ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে লড়তে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ভারতের কাছে ৫ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। এ বিশ্বকাপে এত রান তাড়া করে এখন পর্যন্ত কোনো দল জিততে পারেনি। এদিন টস জিতে ভারতকে আগে ব্যাটিং আমন্ত্রণ জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বৃষ্টি নামার আগে বাংলাদেশ ৭ ওভারে তোলে বিনা উইকেটে ৬৬ রান। ডিএলএসে এগিয়ে ১৭ রানে। বৃষ্টির পর লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রানের।

শুরুটা দুর্দান্তই করেছিলেন লিটন দাস, তুলেছেন ঝর। ২১ বলেই ফিফটির মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে যখন বাংলাদেশের ৫৪ রান তখন লিটন দাসের অপরাজিত ৫১ রান। এবারের বিশ্বকাপের দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি এটি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ইতিহাসেও এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। বিনা উইকেটে পাওয়ার প্লে-তে বাংলাদেশ তোলে ৬০ রান। এ বিশ্বকাপে প্রথম ৬ ওভারে বাংলাদেশের এটি সর্বোচ্চ স্কোর, এর আগে নেদারল্যান্ডস ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে উঠেছিল ৪৭ রান করে।

এরপরই বৃষ্টি! ৭ ওভার শেষে বিনা উইকেটে বাংলাদেশের ৬৬ রান। ডিএলএস পার স্কোর এখন ৪৯, বাংলাদেশ তাই বেশ খানিকটা এগিয়ে। পরে বৃষ্টি থামলে বাংলাদেশ সময় ৫-২০ মিনিটে আবারও খেলা শুরু হয়। ডিএলএস পদ্ধতিতে বাংলাদেশের পরিবর্তিত লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। ফলে বাকি ৯ ওভারে দরকার ৮৫ রান। আবারও ব্যাটে নামেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হাসান শান্ত।

ডাবলস নিতে গিয়ে রান আউট লিটন দাস।

এসেই রান আউট লিটন দাস। অশ্বিনের বলে স্কয়ার লেগে ঠেলে ডাবলস নেয়ার সময় লোকেশ রাহুলের থ্রো সরাসরি ভেঙেছে নন স্ট্রাইক প্রান্তের স্টাম্প।  দেখে মনে হয়েছে, শান্তই কল করেছিলেন ডাবলসের। লিটনও সাড়া দিলেন তাতে, কিন্তু মাঝপথে এসে একটু খেই হারিয়ে ফেলেন তিনি। রান আইট হওয়ার পর রিতিমত ফুঁসছেন লিটন। এমন একটা ইনিংসের শেষটা যদি হয় রানআউটে, তাহলে এমন প্রতিক্রিয়াটা স্বাভাবিকই বটে। ফেরার আগে ২৭ বলে ৭ চার ৩ ছক্কায় ৬০ রান করেন লিটন দাস। বাংলাদেশের তখন ৭.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান।

এর আগে দুইবার ক্যাচ আউট থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন লিটন। একবার দারুণ টাইমিংয়ে দুটি চারের পর আলতো করে খেলতে গিয়ে আলগাভাবে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন লিটন দাস। তবে সামনে ঝুঁকে ঠিকঠাক ক্যাচটি নিতে পারেননি দীনেশ কার্তিক, গ্লাভসের আগেই মাটিতে পড়ে বল। টেলিভিশন আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওর্থ নটআউট দিয়েছেন লিটনকে। শেষ বলে কাভার দিয়ে আরেকটি চার মেরেছেন লিটন। পরে ভুবনেশ্বরের বলে ১টি ছক্কা ও ২টি চারের পর আবারও ক্যাচ উঠিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ডানদিকে ডাইভ দিয়ে হাত লাগালেও ক্যাচ নিতে পারেননি কার্তিক। লিটন বেঁচে গেলেন আরেকবার। ক্রাইস্টচার্চে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওপেনিংয়ে খেলেছিলেন লিটন দাস। এরপর থেকে তাকে খেলতে হয়েছে তিন নম্বরে। ভারতের বিপক্ষে আবার ওপেন করেছেন তিনি।

লিটনের আউটের পরই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১০ম ওভারে ফিরলেন শান্ত। ওই ওভারে মোহাম্মদ শামির প্রথম বলেই টেনে মিডউইকেটে মারেন শান্ত। টাইমিং ভালো হয়নি। তার ক্যাচটি নেন সূর্যকুমার যাদব। ২৫ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২১ রান করে ফেরেন নাজমুল হাসান শান্ত। এরপর ফেরেন আফিফ। অর্শদীপের বলে লেংথ কম ছিল, টেনে মারেন আফিফ। বল অনেক উপরে উঠলেও যায়নি বেশিদূর। লং অন থেকে ছুটে এসে ক্যাচটি নেন সূর্যকুমার। মাত্র ৩ রান করে ফেরেন আফিফ হোসেন। এরপর সাকিবও বিদায় নিলেন। আফিফের মতো প্রায় একই লেংথ থেকে অর্শদীপ সিংকে একই ধরনের শট খেলতে গিয়ে ক্যাচ দেন সাকিবও। বদলি ফিল্ডার দীপক হুদা ক্যাচ নিতে ভুল করেননি। ফেরার আগে ১২ বলে ২ চারে ১৩ রান করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এরপর টিকতে পারেননি ইয়াসির ও মোসাদ্দেক। পান্ডিয়া আগের ওভারেও করেছিলেন শর্ট লেংথে, এবার প্রথম বলটিও করলেন সেখানেই। তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইয়াসির, করেন মাত্র ১ রান। তার পরে বোল্ড মোসাদ্দেক। নেমেই পান্ডিয়ার ছক্কা মারেন মোসাদ্দেক। পরের বলে ডট, তার পরের বলেই বোল্ড হন মোসাদ্দেক হোসেন। এরপর শেষ চেষ্টা করেন নুরুল ও তাসকিন।

শেষ ১২ বলে ৩১ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। পান্ডিয়ার প্রথম বলে কাভার ড্রাইভে চার মারেন তাসকিন। সেই চারের পরই আবার শর্ট লেংথে গেছেন পান্ডিয়া, ব্যাট চালালেও নাগাল পাননি তাসকিন। তৃতীয় বলে মিডউইকেট দিয়ে মারেন ছক্কা। চতুর্থ বলে সিঙ্গেল নিয়ে নুরুলকে স্ট্রাইক দেন তাসকিন। পঞ্চম বলটি স্লটে পেলেও লাগাতে পারেননি নুরুল, শেষ বলে অফ স্টাম্পের দিকে সরে যাওয়াতে ওয়াইড দেননি আম্পায়ার। এরপর শেষ ৬ বলে দরকার ২০ রান। অর্শদীপ সিংয়ের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে নুরুলকে ব্যাট দেন তাসকিন। পরের বলটি শর্ট লেংথে দেন অর্শদীপ, নুরুল মিডউইকেট দিয়ে মারেন ছক্কা। পরের বলটিতে সিঙ্গেল না নিয়ে চতুর্থ বলে ডাবলস নেন নুরুল। পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের ফুললেংথের বলটি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট দিয়ে চার মারেন। এবার শেষ বল, দরকার ৭ রান। একটি ছক্কা হলেই ম্যাচ টাই। হতো সুপার ওভার, তবে হয়নি। শেষ বলে ১ রানের বেশি নিতে পারেনি নারুল হাসান। শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। ৭ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ১২ রান করে তাসকিন এবং ১৪ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৫ রান করেন নুরুল হাসান। দুজনেই থাকেন অপরাজিত। ভারতের হয়ে অর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া ২টি করে এবং মোহাম্মদ সামি ১টি উইকেট নেন।

শেষ চেষ্টা করেছিলেন নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে তাসকিন আহমেদের আঁটসাঁট বোলিং চাপে পরে ভারত। প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে ভারত নিতে পারে মাত্র ১ রান। চতুর্থ ওভারে ফেরেন রোহিত। ওই ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসান মাহমুদের বাইরের বল কাটের মতো করেছিলেন ভারত অধিনায়ক, ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সরাসরি ক্যাচ গেছে ইয়াসির আলীর হাতে! বাংলাদেশের প্রথম ব্রেকথ্রু। ২ রান করে ফেরেন ভারতের অধিনায়ক। তাদের দলীয় রান তখন ১১। অথচ এর আগের ওভারে তাসকিনের বলে ক্যাচ রোহিত শর্মার দেয়া ক্যাচ ফেলেছিলেন হাসান। আরও প্রায় দুটি সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। তাসকিন আহমেদের বলে দুবার ড্রাইভ করেছেন বিরাট কোহলি, দুবারই উঠেছিল ক্যাচ। প্রথমটি গেছে কাভারে থাকা লিটন দাসের নাগালের একটু বাইরে দিয়ে। পরেরটি একমাত্র স্লিপে থাকা ইয়াসির আলীর ওপর দিয়ে। দুটিতেই চার পেয়েছেন কোহলি। তৃতীয় ওভারে এসে ৮ রান দিয়েছেন তাসকিন। এরপর পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলতে পারে ভারত।

এরপর টানা চতুর্থ ওভারে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। রাহুল ও কোহলি সতর্কই থেকেছেন তার বিপক্ষে। শেষ ওভারেও উইকেট পাননি বাংলাদেশ পেসার, তবে ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। ভারতের বিপক্ষে কোনো বাংলাদেশ পেসারের ৪ ওভার বোলিং করে এটি সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিং এখন।

রাহুলকে ফেরান সাকিব। ইনিংসের ১০ম ওভার সকিবের দ্বিতীয় বলে ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ উঠিয়ে দেন রাহুল। পেছন দিকে ছুটে ভালো ক্যাচ নেন মোস্তাফিজুর রহমান। তার আগের বলে ডাবলস নিয়ে ফিফটি পূ্র্ণ করেছিলেন রাহুল। ফেরার আগে ৩২ বলে ৩ চার ৪ ছক্কায় ৫০ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপে ফর্মের কারণে যিনি ছিলেন আলোচনায়। আগের ৩ ম্যাচ মিলিয়ে করেছিলেন মাত্র ২২ রান, তবে ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট বারবারই রাহুলের ওপর আস্থার কথা জানিয়েছে। সেটির প্রতিদান দিলেন তিনি।

পরে জীবন পেলেন সূর্যকুমার যাদব। রাহুলের ক্যাচটি পেছনে ছুটে ভালোই নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। এবার বলের কাছে গিয়েও নিতে পারলেন না ঠিক। সাকিবের বলে সুইপ করতে গিয়ে টপ-এজড হয়েছিলেন সূর্যকুমার। মোস্তাফিজের হাত ও বুকের ফাঁক দিয়ে পড়ে গেছে বল। ১১ রানে বেঁচে গেলেন সূর্যকুমার। ১২তম ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০০ ছুঁয়ে ফেলে ভারত। তবে সাকিবের হাত থেকে রক্ষা হয়নি সূর্যকুমারের। পয়েন্টের পেছনে গ্যাপ রেখেছিলেন সাকিব, তাকে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সূর্যকুমার। সাকিব করেছেন স্টাম্প বরাবর। কিন্তু বলটি মিস করে বোল্ড হন সূর্য। ফেরার আগে ১৬ বলে ৪ চারে ৩০ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। কোহলি ও সূর্যর জুটিতে উঠেছিল ৩৮ রান। টুর্নামেন্টে ভারতের সেরা দুই ব্যাটারের সামনে সাকিব করে গেছেন সাহসী বোলিং, সেটির পুরস্কারও পেলেন।

এরপর বিরাট কোহলির আরেকটি রেকর্ড। তাসকিনের করা সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে রেকর্ডটি গড়ে ফেলেন কোহলি। ব্যাক অব দ্য লেংথের বলটি মিড উইকেটে ঠেলে একটি রান নিয়ে তিনি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে যান। কোহলি টপকে গেলেন শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি মাহেলা জয়াবর্ধনেকে।

হাসান মাহমুদের উইকেট।

আবারও হাসানের শিকার, এবার পান্ডিয়া। ১৬তম ওভার করতে এসে প্রথম বলটি দিলেন শর্ট বল। লাফিয়ে উঠে ব্যাট চালালেন হার্দিক পান্ডিয়া। একটু লাফ দিয়ে উঠে পয়েন্টে ক্যাচ নিলেন ইয়াসির আলী। এমসিজিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের জয়ের ভিত গড়ে দেয়া পান্ডিয়া ও কোহলি জুটি টিকল না বেশিক্ষণ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু বাংলাদেশের। ১৬তম ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৪ উইকেটে ১৩৮ রান।

কোহলি ও সাকিবের আলিঙ্গন।
সাকিবের বলে শট করার পরপরই স্কয়ার লেগ আম্পায়ারের দিকে তাকিয়ে নো বলের ‘আবেদন’ করছিলেন কোহলি। হাসতে হাসতে এসে কোহলিকে জড়িয়ে ধরলেন সাকিব, এরপর কথা বললেন আম্পায়ার মারাই এরাসমাসের সঙ্গে। কোহলিও হাসছিলেন। অবশ্য দ্বিতীয় বাউন্সারের জন্য ঠিকই নো বল কল করেছেন আম্পায়ার। এরপরে ফিফটি করেন কোহলি। আগে থেকেই দর্শকদের চিৎকার করতে বলছিলেন কোহলি। ফিফটি পূর্ণ করার পর তার উদ্‌যাপনেও মিশে থাকল অমন ইঙ্গিত। রাহুল ফিফটির পরপরই ফিরে গেছেন, পান্ডিয়া তেমন কিছু করতে পারেননি। তবে ঠিকই টিকে ছিলেন কোহলি। ফিফটি করতে কোহলির লাগল ৩৭ বল।

সাকিবের থ্রোতে কার্তিক রানআউট। শরীফুলের বলে কাভারে খেলেছিলেন কোহলি, কার্তিক নিতে চেয়েছিলেন সিঙ্গেল। তবে তাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন কোহলি। কার্তিক ডাইভ দিলেও বাঁচলেন না। সাকিবের থ্রো ঠিকঠাক ধরার আগেই স্টাম্প ভেঙেছিলেন শরীফুল, তবে আদতে থ্রোয়ে সরাসরি স্টাম্প ভেগেছে আগেই। তারপরে ফিরলেন অক্ষর। আগের ওভারে মোস্তাফিজের বলে এমন একটা ক্যাচ তুলেও বেঁচে গিয়েছিলেন অক্ষর প্যাটেল। পরের ওভারে আবারও হাসানের স্লোয়ারে কাভারে ক্যাচ তুললেন, এবার ঠিকই নাগাল পেয়েছেন সাকিব। এরপর আর উইকেট হারাতে হয়নি ভারতকে। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান করে ভারত। ৪৪ বলে ৮ চার ১ ছক্কায় ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন বিরাট কোহলি। তার সঙ্গে অপরাজিত থাকেন আশ্বিনও ৬ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ১৩ করে।

বাংলাদেশের হয়ে ৪ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান। তাসকিন আহমেদ উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৫ রান। মোস্তাফিজ দিয়েছেন ৩১ আর শরীফুল ইসলাম দিয়েছেন ৫৭ রান। ম্যাচ সেরা হয়েছেন বিরাট কোহলি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত