টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

‘নো’ বলের নাটকের পর স্বস্তির জয় বাংলাদেশের

প্রকাশ : ৩০ অক্টোবর ২০২২, ২১:৪০

ইনিংসের শেষ বলে জিম্বাবুইয়ানদের দরকার ছিল ৫ রান। তখনই ঘটল এক কাণ্ড! মোসাদ্দেকের করা শেষ বলটি এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ব্যাটে সংযোগ করতে পারেননি ১০ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা ব্লেসিং মুজারাবানি। দ্রুতই স্টাম্পিং করে দেন উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। আউট হয়ে হতাশা নিয়ে মাঠ ছেড়ে গেলেন মুজারাবানি। ৪ রানে হেরে যায় জিম্বাবুয়ে। স্বাভাবিকভাবে জয়ের উদ্‌যাপনও শুরু হয়ে যায় বাংলাদেশ ক্যাম্পে। দুই দলের ক্রিকেটাররা করমর্দন করতে করতে মাঠও ছেড়ে গেছেন। আর তখনই শুরু নাটকের। গ্যাবার বড় পর্দায় তখনো কোনো দলকে বিজয়ী ঘোষণা করেনি। নিয়ম মাফিক ‘নো’ বল পরীক্ষা করতে গিয়েই বাধে বিপত্তি। আউটই হননি মুজারাবানি। দ্রুত স্টাম্পিং করতে গিয়ে নুরুলের গ্লাভস আগেই ঢুকে যায় পপিং ক্রিজের মধ্যে। এতে নিয়ম অনুযায়ী ‘নো’ বলই হওয়ার কথা। তৃতীয় আম্পায়ার টিভি রিপ্লে দেখে এটিকে ‘নো’ দিয়েছেন। ততক্ষণে ব্যাটার ডাগআউটে ফিরে গিয়ে প্যাড-ট্যাড খুলে ফেলেছেন। উদ্‌যাপন চলছিল বাংলাদেশ ক্যাম্পে। এমন সময়েই কিনা দুই দলকে মাঠে ডেকে পাঠান আম্পায়ার! খেলা শুরু হয় আবার। তখন শেষ বলে ফ্রি হিট থেকে জিম্বাবুয়ের দরকার ছিল ৪ রান। এবারও মোসাদ্দেকের বুদ্ধিদীপ্ত শেষ বলটি ব্যাটে সংযোগ করতে পারেননি মুজারাবানি। অবশেষে আবারও জিতল বাংলাদেশ।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) ব্রিসবেনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩ রানে জিতল বাংলাদেশ। তবে এ জয়ের মোড়টাই ঘুরিয়ে দিয়েছেন সাকিব আল হাসান। সেট ব্যাটার শেন উইলিয়ামসের রানআউটটাই ছিল টানিং পয়েন্ট। খাদের কিনার থেকে দলকে টেনে জয়ের বন্দরে নিয়ে যাচ্ছিলেন উইলিয়ামস। তার দারুণ ইনিংস যখন পূর্ণতার দ্বারে তখন মোড় ঘুরিয়ে দেয়া এক ক্ষিপ্র থ্রোতে ছবি বদলে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৯তম ওভারের চতুর্থ বলটি হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের জন্য দৌড় দেন উইলিয়ামস। বোলিং প্রান্ত থেকে দৌড়ে গিয়ে বল ধরে সেকেন্ড বিলম্ব না করে স্টাম্পে থ্রো করেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব। সেই থ্রোতেই রান আউট হন উইলিয়ামস। আর তাতেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়। রান আউটের শিকার হয়ে ৪২ বলে ৬৪ রান করে মাঠ ছাড়েন তিনি। আক্ষেপ সঙ্গী করা উইলিয়ামস বলছেন, একটু বেশিই ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

এর আগে শেষ দুই ওভারে জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। ১৯তম ওভারটি করতে আসেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সেই ওভারের প্রথম তিন বলে ৭ রান তোলেন উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল। এরপর চতুর্থ বলটি হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের নিতে গিয়ে সাকিবের হাতে রান আউট হন উইলিয়ামস। সাকিবের ওই ওভারের শেষ দুই বলে রান আসে আরও ৩, এতে ১৯তম ওভারে উঠে ১০ রান। এরপর ৬ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। এবার মোসাদ্দেকের হাতে বল তুলে দেন সাকিব। পুরো ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা পেইসারদের ৪ ওভারের কোটা পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় শেষ দুই ওভার করার দায়িত্বভার বর্তায় দুই স্পিনারের ওপর। মোসাদ্দেক যখন শেষ ওভারটি করতে আসেন তখন ব্যাটিংয়ে ছিলেন রায়ান বার্ল ও ব্র্যাড ইভান্স। প্রথম বলটি ডট দিয়ে ওভারের শুরুটা দারুণ করা মোসাদ্দেক দ্বিতীয় বলে নেন উইকেট। স্লগ করতে গিয়ে আফিফের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ব্র্যাড ইভান্স। তখন ৪ বলে প্রয়োজন ১৫ রান। তৃতীয় বলে লেগবাইয়ে চার। চতুর্থ বলে রিচার্ড এনগারাভা মারেন ছক্কা। তবে ডিপ স্কয়ার লেগের ওপর দিয়ে কীভাবে ছয় হলো, সেটি হয়তো নিজেও জানেন না এনগারাভা! শুধু ব্যাট ঘুরিয়েছেন, ব্যাটে-বলে হয়েছে দারুণ! পঞ্চম বলে ক্রিজ ছেড়ে এসে খেলতে গিয়েছিলেন, তবে অফ স্টাম্পের বাইরের বল মিস করে হয়েছেন স্টাম্পিং। এরপর নামেন ব্লেসিং মুজারাবানি। তবে শেষ বলেও স্ট্যাম্পিংয়ের নাটকিয়তার পর ৩ রানে জিতে যায় বাংলাদেশ।

আগের ম্যাচে পাকিস্তানকে ১ রানে হারিয়ে উজ্জীবিত ছিল জিম্বাবুয়ে। অন্যদিকে ১০৪ রানে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে একটু চাপেই ছিল বাংলাদেশ। ব্রিসবেনের গ্যাবায় এই দুই দলের মুখোমুখির দিনে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান করে বাংলাদেশ। জবাবে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রানে থেমে যায় জিম্বাবুয়ে। শুরুতে জিম্বাবুইয়ানদের ব্যাটিং লাইনে আঘাত হানেন তাসকিন আহমেদ।
এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট নেন তাসকিন। নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা ও জিম্বাবুয়ে। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে নিয়েছিলেন জোড়া উইকেট। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে তুলে মেরেছিলেন ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে, এর আগে এমন লাইনে পেয়ে মেরেছিলেন চার। তবে এবার লেংথ ছিল শর্ট, তাতেই উঠেছে ক্যাচ। ডিপ থার্ডম্যানে সেটি নিয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। তাসকিনের করা প্রথম ওভারে উঠেছে ১ উইকেটে ৫ রান।

আবারও তাসকিনের আঘাত, আবারও উইকেট। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন ক্রেইগ আরভিন। বাংলাদেশ উইকেটরক্ষক নুরুল হাসানের হাতে ধরা পড়েন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে তাসকিনের করা চতুর্থ বলে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ৮ রান করেন আরভিন। ১৭ রানে জিম্বাবুয়ে হারায় দ্বিতীয় উইকেট। এরপর আঘাত করেন মোস্তাফিজ। ইনিংসের ৬ষ্ঠ ওভারে সাকিবের দারুণ ক্যাচে ফেরেন মিল্টন শুম্বা। পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে মোস্তাফিজের করা দ্বিতীয় বলে সোজা ব্যাটে তুলে মেরেছিলেন শুম্বা। মিড অফ থেকে ছুটে গিয়ে ডাইভ দিয়ে দারুণ ক্যাচ নেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ে হারায় তৃতীয় উইকেট। এবার ক্রিজে সিকান্দার রাজা। তবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাজাকে ক্রিজে টিকতেই দিলেন না মোস্তাফিজ। ওই ওভারের পঞ্চম বলে মোস্তাফিজের শর্ট লেংথের বল তুলে মারতে গিয়ে মিসটাইমিং হয়েছে রাজার। শর্ট মিডউইকেটে রাজার ক্যাচটি নেন আফিফ হোসেন। স্বপ্নের মতো ফর্মে থাকা জিম্বাবুইয়ান এ ব্যাটার ফিরলেন শূন্য রানে। ৪ বলের মধ্যে দ্বিতীয় উইকেট নিলেন মোস্তাফিজ। ৬ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৫ রান জিম্বাবুয়ের। এরপর নবম ওভারে ৫০ পেরিয়ে যায় দলটি। তবে অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও ইতিবাচকই ছিলেন শন উইলিয়ামস। ১০ ওভার শেষে জিম্বাবুয়ের উঠেছে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৪ রান। বাংলাদেশের তখন ছিল ২ উইকেটে ৬৩ রান।

আবারও তাসকিনের আঘাত। ৩৪ রানের ছোট একটি জুটি গড়েছিলেন শন উইলিয়ামস ও রেজিস চাকাভা। ১২তম ওভারে ফিরেই এ জুটি ভাঙেন তাসকিন। আবার অফ স্টাম্পের বাইরে বল, এবার ব্যাট ছুঁড়েছিলেন রেজিস চাকাভা। উইকেটকিপার নুরুলের হাতে ধরা পড়েন তিনিও। গ্যাবায় বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ বাড়ল আরও। সুপার টুয়েলভ পর্বে তাসকিনের এটি অষ্টম উইকেট। ৩ ওভার, ৯ রান, ৩ উইকেট। এমন ফিগার নিয়ে নিজের শেষ ওভার করতে এসে দিয়েছেন ১০ রান। অর্থাৎ ৪ ওভার করে ৩ উইকেট নিয়ে ১৯ রান দিয়েছেন। তখন ২৪ বলে ৪৬ রান দরকার জিম্বাবুয়ের। এরপর নিজের ওভার শেষ করলেন মোস্তাফিজও। ১৭তম ওভারে নিজের চতুর্থ ওভার করতে এসে দিয়েছেন ৬ রান। ৪ ওভার শেষে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। এ পর্যন্ত পাঁচ জন বোলার ব্যবহার করেছেন সাকিব। ১টি করে ওভার বাকি হাসান মাহমুদ, সাকিব ও মোসাদ্দেকের। তখন ১৮ বলে জিম্বাবুয়ের প্রয়োজন ৪০ রান। ১৮তম ওভারে হাসান মাহমুদকে বল দেন সাকিব। ওয়াইড করেছেন, ফুলটস করেও বেঁচে গেছেন। ওই ফুলটসে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন শন উইলিয়ামস, ৩৭ বলে। জিম্বাবুয়েকে অনেক্ষণ ধরে ম্যাচে রাখার মূল ভূমিকাটা পালন করছেন উইলিয়ামসই। হাসানের পঞ্চম বলে ব্লকহোল থেকে এক্সট্রা কাভার দিয়ে দারুণ চার মারেন উইলিয়ামস। তাতেই বার্লের সঙ্গে উইলিয়ামসের ৫০ রানের জুটি পূর্ণ হয়। শেষ বল ছিল শর্ট, সেটিতে টেনে আরেকটি চার মারেন উইলিয়ামস।

এরপর ১২ বলে জিম্বাবুয়ের দারকার ২৬ রান। ১৯তম ওভারটি করতে আসেন সাকিব। প্রথম তিন বলে ৭ রান দেন তিনি। এরপর চতুর্থ বলে হালকা ঠেলে দিয়ে সিঙ্গেলের নিতে গিয়ে সাকিবের হাতে রান আউট হন উইলিয়ামস। আর এটাই ছিল দলের টার্নিং পয়েন্ট। এই রান আউটেই খেলার মোড় ঘুরে যায়। ফেরার আগে ৪২ বলে ৮ চারে ৬৪ রান করেন শন উইলিয়ামস। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘যখন রানআউটের ব্যাপারটা এলো…ভাবুন এটা যেকোনো দিকে যেতে পারত। ওর জন্য এক স্টাম্পের নিশানা ছিল। যদি সে মিস করত আমি দুই রান নিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু সেটা হলো না। আমি ভুল ধারণা করেছিলাম এবং রান আউট হয়েছি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে এটা আমাদের জন্য কাল হলো।’ পরে সাকিবের শেষ দুই বলে আরও ৩ রান আসে। এরপর ইনিংসের শেষ ওভারটি করতে আসেন মোসাদ্দেক হোসেন। তখন ৬ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। এই ওভারে ২ উইকেট তুলে নেন মোসাদ্দেক। তবে শেষ ওভারে নাটকিয়তার মধ্যে ৩ রানে জিতে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ৪ ওভার করে ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। এতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও ওঠে তার হাতে। মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ১৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট এবং মোসাদ্দেক হোসেন ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। সাকিব আল হাসান ও হাসান মাহমুদ কোনো উইকেট পাননি।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেট হারায় টাইগাররা। ব্লেসিং মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে বলে শেষ মুহূর্তে ব্যাটের ফেস ওপেন করেছিলেন সৌম্য সরকার। তাতেই ধরা পড়েন উইকেটের পেছনে। ১০ রানেই প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর পাওয়ার প্লে-র শেষ ওভারে ফেরেন লিটন দাস। টাইমিং হচ্ছিল দারুণ, ১ বল আগেই কাট করে মারা শটে পেয়েছিলেন চার। তবে লিটন অফ স্টাম্পের বাইরে সরে গিয়ে মুজারাবানিকে করতে গেলেন স্কুপ। টপ-এজড হয়েছেন তাতেই, বল আদতে লেগেছে ব্যাটের উল্টো দিকে। লিটন ধরা পড়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে। পাওয়ার প্লে শেষে ৩২ রানে বাংলাদেশ হারায় ২ উইকেট। এরপর দশ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৬৩ রান। তখন সাকিব ও শান্তর চলছে ৩১ রানের অবিচ্ছিন একটি জুটি। এই জুটিতে আঘাত হানেন উইলিয়ামস। রানিং বিটুইন দ্য উইকেট এতক্ষণ বেশ ভালোই ছিল সাকিব ও নাজমুলের, ১২তম ওভারের শেষ বলে গড়বড় হয়ে গেল তাতে। বাঁহাতি স্পিনার উইলিয়ামসকে তুলে মারতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলেছিলেন সাকিব, মিডঅনে ধরা পড়ে ফিরতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ককে। ফিল্ডিংয়ে এলোমেলো সময় কাটানো জিম্বাবুয়ে পেয়ে গেছে দারুণ একটি ব্রেকথ্রু, ভেঙেছে নাজমুলের সঙ্গে সাকিবের ৫৪ রানের জুটি।

এরপর শান্তর ফিফটি। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। রাজার বলে মিডউইকেটে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন এ বাঁহাতি, লেগেছে ৪৫ বল। তখন ৬ ওভার বাকি থাকতে স্কোর ৯৫/৩। এরপরই ফেরেন শান্ত। ইনিংসের প্রথম ছক্কা, এরপর ওভারে আরও দুটি চার-ইভান্সের ওভারে নাজমুলের এমন ব্যাটিংয়ের পর উঠেছিল ১৭ রান। পরের রাজাকে তুলে মারতে গিয়ে মিড অফে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি, টাইমিং করতে পারেননি ঠিকঠাক। ফেরার আগে ৫৫ বলে ৭ চার ১ ছক্কায় ৭১ রান করেন শান্ত। তার আউটে ভাঙে আফিফের সঙ্গে ২১ বলে ৩৬ রানের জুটি। এরপর ইনিংসের একদম শেষ বলে ফেরেন আফিফ। ঝরো ইনিংস খেলা আফিফ এনগাভারার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন। ফেরার আগে ১৯ বলে ১ চার ১ ছক্কায় ২৯ রান করেন আফিফ হোসেন। তার আগে মোসাদ্দেক ৭ রান করে ক্যাচ আউট, নুরুল হাসান ১ রানে রানআউট ও ইয়াসির আলী ১ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রান তোলে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের হয়ে এনগাভারা ও মুজারাবানি ২টি করে এবং সিকান্দার রাজা ও শন উইলিয়ামস ১টি করে উইকেট নেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত